নয়াদিল্লি: রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ডিএ (Dearness Allowance-DA) মামলা শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) ওঠে। মঙ্গলবার বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি এম সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে ডিএ মামলার শুনানি ছিল। নিয়ম মেনে শুরুও হয়, তবে তা অল্প সময়ের জন্য, মূল মামলা নিয়ে কোনও সওয়াল জবাব হয়নি। বিচারপতিরা জানান, এটি বড় মামলা শুনানিতে অনেকটা সময় লাগবে। তাড়াহুড়ো করে হবে না। তাই আজ তা করা সম্ভব নয়। কারণ আজকের সূচিতে যেসব মামলা রয়েছে তার সঙ্গে ডিএ মামলার শুনানি সম্ভব নয়। আগামী ২৪ এপ্রিল সোমবার শীর্ষ আদালতে ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে।
এদিকে কলকাতার শহিদ মিনার (Shaheed Minar) থেকে আজ দিল্লিতে (Delhi) পৌঁছে গিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ডিএ মেটানোর দাবিতে আজ থেকে দু’দিনের ধরনা অবস্থান করবেন তাঁরা। ডিএ-র পাশাপাশি রাজ্যে সরকারি দফতরে যে পদ খালি রয়েছে সে পদগুলি পূরণের দাবি তোলা হয়। সূত্রে খবর, আগামিকাল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকারীদের একটি দল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় ও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে ডিএ-র দাবিতে স্মারকলিপি দেবে।
আরও পড়ুন:Justice Abhijit Ganguly | অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ ডিভিশন বেঞ্চে
গত ২০ মে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। তবে রাজ্য সরকার সেই পথে হাঁটেনি। বরং হাইকোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হওয়ার কয়েকদিন আগে হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেন রাজ্য সরকার।
উলেখ্য, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর ডিএ মামলার প্রথম শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ওই দিন শুনানি হয়নি। এর পর শুনানি আরও তিন বার পিছিয়ে যায়। চলতি বছরের মার্চ মাসের ২১ তারিখ মামলার শুনানি হবে বলে জানানো হয়। তবে সেটিও পিছিয়ে যায়। অবশেষে মঙ্গলবার ১১ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করা হয়। আজও তা বার্থ হল, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটির শুনানি আবার পিছিয়ে দিলেন।