জলপাইগুড়ি: ক্রেতা সেজে হাতির দাঁত (Ivory Smuggling) পাচার রুখে দিলেন বনকর্মীরা (Forest Department)৷ গ্রেফতার পাচারকারী মণিকান্ত গোয়ালা। তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৩ কেজি ওজনের একটি হাতির দাঁত। চোরাবাজারে ১৫ লক্ষ টাকায় এই হাতির দাঁতটি বিক্রির ছক ছিল পাচারকারীদের৷ আজ, রবিবার ধৃতকে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে (Jalpaiguri Court) তোলা হবে বন দফতরের পক্ষ থেকে।
জলপাইগুড়ির বৈকুন্ঠপুর বনবিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জের বনকর্মীরা গোপন সূত্রে খবর পান অসম থেকে একটি হাতির দাঁত আলিপুরদুয়ার হয়ে শিলিগুড়িতে আসছে বিক্রির উদ্দেশ্যে৷ এই খবরের ভিত্তিতে রেঞ্জার সঞয় দত্ত নিজেই ছদ্মবেশে ক্রেতা সেজে সেই পাচারকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ঠিক হয়, শিলিগুড়ির তিনবাত্তি মোড়ে হাতির দাঁতটি নিয়ে আসবে এবং ১৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তিন ফুট লম্বা ও তিন কেজি ওজনের এই হাতির দাঁতটি বিক্রি করবে।
এরপরেই তিনবাত্তি মোড়ে সেই পাচারকারী একটি সিমেন্টের বস্তায় হাতির দাঁতটি নিয়ে বাস থেকে নামতেই তাকে ঘিরে ধরেন বনকর্মীরা। গ্রেফতার করা হয় মণিকান্ত গোয়ালাকে। সে আলিপুরদুয়ার জংশনের বাসিন্দা বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। ধৃতকে রবিবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হবে। পাশাপাশি এই চক্রের পেছনে আর কে কে আছে, সেটা জানতে ধৃতকে নিজেদের হেপাজতে চেয়ে বন দফতরের পক্ষ থেকে আদালতে আবেদন করা হবে।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চোরাবাজারে পূর্ণবয়স্ক হাতির দাঁতের প্রচুর দাম। এদেশে ছাড়াও বিদেশের বাজারেও হাতির দাঁত বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা কামায় পাচারকারীরা। বিশেষত আরব দেশে হাতির দাঁতের বিরাট কদর রয়েছে। তাই ভারত থেকে পাকিস্তান ও নেপাল সীমান্ত দিয়ে পাচার হয় হাতির দাঁত। হাতির দাঁতের রকমারি সাজসরঞ্জাম ও গৃহসজ্জার জিনিস তৈরি হয়। সে কারণে বহু চেষ্টা করেও হাতির চোরাশিকার বন্ধ করা যায়নি। যদিও এখন এ ধরনের চোরাশিকার অনেকটা কমেছে। এই দাঁতটি অসম থেকে আসছিল বলে সেখানকার পুলিশ ও বন দফতরকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।