ঝাড়গ্রাম: জেলায় জেলায় দিদির দূতদের (Didir Doot) ঘিরে যতই ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকুক, শাসকদলের নেতা-নেত্রীরা আছেন আগের মতোই। কাটমানি ছাড়া কোনও ফাইল এগবে না। ফের একই অভিযোগ সামনে এল তৃণমূলের (TMC) এক নেত্রীর বিরুদ্ধে। তিনি আবার পদাধিকার বলে ঝাড়গ্রামের (Jhargram) দহিজুড়ি এলাকার অঞ্চল প্রধান। অভিযোগ, টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও দহিজুড়ির অঞ্চল প্রধান ওয়ার্কঅর্ডার দিচ্ছেন না। তিনি যে ওয়ার্কঅর্ডার (Work Order) ইস্যু করার জন্য কাটমানি (Cutmoney) চাইছেন, তা রীতিমতো ক্যামেরায় ধরা পড়ে। যা দ্রুত ভাইরাল (Viral Videos) হয়ে যায়। যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা টিভি ডিজিটাল।
জানা গিয়েছে, দহিজুড়ি এলাকার উন্নয়নে ৫৬ লক্ষ টাকার টেন্ডার ইস্যু হয়। কিন্তু কাটমানি না পাওয়ায় অঞ্চল প্রধান ওই কাজের ওয়ার্কঅর্ডার দেননি। এই অভিযোগ তুলে স্থানীয় ঠিকাদাররা দহিজুড়ি অঞ্চল অফিসের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান। যদিও এই অভিযোগের বিরুদ্ধে বিরোধীদের চক্রান্ত বলে জানান অঞ্চল প্রধান ফাল্গুনী দে।
আরও পড়ুন: Giasuddin Mollah: পুলিশ ‘২ টাকার চাকর’ বিধায়ককে থানায় ক্ষমা চাওয়ালেন পুলিশকর্তা
তিনি জানান, এলাকার ঠিকাদাররা টাকা নেওয়ার যে ভিডিওটি ভাইরাল করেছেন সেটা আমার ধারের পাওনা টাকাও হতে পারে। এই অভিযোগে সুর চড়িয়েছেন স্থানীয় বিজেপি জেলা সভাপতি তুফান মাহাত।
ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সভাপতি রেখা সোরেন অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সূত্রের খবর, অঞ্চল প্রধান যে কাটমানি চাইছেন, সেই ভিডিও গোপনে ক্যামেরাবন্দি করেছেন ঠিকাদারদের মধ্যেই কেউ। তাঁরাই ভিডিওটি ভাইরাল করেছেন বলে দাবি বিরোধীদের।
এ বিষয়ে ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক সুনীল আগরওয়ালের কাছে জানতে চাওয়ায় তিনি ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও ফোনে জানান, ঠিকাদারদের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি প্রধানকে বলেছেন টেন্ডারের ওয়ার্কঅর্ডার যেগুলি আটকে আছে, সেগুলি পাশ করিয়ে দিতে। আর প্রধানের টাকা নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাঁর কাছে এই অভিযোগ এলে তিনি তদন্ত শুরু করবেন।