কলকাতা: মামলা মোকদ্দমার জন্য অনেক সরকারি কাজ আটকে যাচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যখনই লোক নিতে চাই, আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসা হচ্ছে। তাঁর আরও আক্ষেপ, যখনই যা করতে চাই, তখনই মামলা হয়ে যাচ্ছে। আদালতে লড়তে লড়তেই তো সব টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বিধানসভার মাধ্যমে সকলকে আবেদন করব, বিচারের বাণী যেন নীরবে নিভৃতে না কাঁদে।
প্রাথমিক (primary), উচ্চ প্রাথমিক (upper primary) এবং নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক(teachers) , গ্রুপ সি(group c), গ্রুপ ডি(group d) কর্মী নিয়োগ (recruitment) নিয়ে নানা দুর্নীতির(corruption) অভিযোগ ওঠে। তার ভিত্তিতেই ভূরি ভূরি মামলা হয়। সেই সব মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই আদালতের নির্দেশে সিবিআই(CBI) এবং ইডি(ED) তদন্ত চালাচ্ছে। এত মামলা হওয়ায় বিভিন্ন সভা সমাবেশে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, আমি তো নিয়োগ দিতেই চাই। কিন্তু মামলার জন্য সব আটকে যাচ্ছে। চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ, যান না, সাহস থাকলে সিপিএমের আইনজীবী(CPIM lawyer) বিকাশ ভট্টাচার্যের (Bikash Ranjan Bhattacharya) বাড়ি ঘেরাও করুন না। তিনিই তো মামলা করছেন। মুখ্যমন্ত্রী কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বিকাশ ভট্টাচার্যের উদ্দেশে বলেছিলেন, মেয়র থাকাকালীন বার্থ সার্টিফিকেট নিয়ে আপনার কেলেঙ্কারির ফাইল খুলব নাকি। তার জবাবে প্রাক্তন মেয়র মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছিলেন, আপনি তদন্ত করে আমার দুর্নীতি খুঁজে বার করুন।
আরও পড়ুন: দুয়ারে সরকার প্রকল্প চলবেই, মাথা নত করব না, জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিন বিধানসভায় পর্যটন (tourism) সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সব কি আমরা করব। তাহলে স্থানীয়রা কী করবে। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ কানেক্টর তৈরি হয়েছে। তার জন্য ৩ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। মাহেশের রথ, ফুরফুরা শরিফ, তারকেশ্বর সব করে দিয়েছি। আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম, তখন সাংসদরা বাড়ির কাছে রেল স্টেশনের দাবি করতেন। তিনি বলেন, বাকি আর কী আছে। চাওয়ার শেষ নেই। আসলে আমাদের মন ভালো নেই।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১১ বছর আগে উত্তরবঙ্গ কী ছিল। এখন সচিবালয় হয়েছে। প্রায় ৩৫ টি কটেজ হয়েছে। হেলিপ্যাড হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে।