প্রাথমিকের টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আজ, শুক্রবার বিকাল 4টে থেকে 3 নভেম্বর রাত 12টা পর্যন্ত পর্ষদের ওয়েবসাইট www.wbbpe.org আর https://wbprimaryeducation.org তে অনলাইনে আবেদন করা যাবে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ। তার পর থেকেই ওই বিজ্ঞপ্তির বিভিন্ন ধারা নিয়ে একের পর এক মামলা হচ্ছে হাইকোর্টে। তাতেই প্রশ্ন উঠছে নতুন টেট নিয়োগের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও টেট নিয়ে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। যার জেরে ফের প্রশ্ন উঠল নির্ধারিত সময়ে আরও একবার পরীক্ষার্থীদের নিয়োগের ভবিষ্যৎ নিয়ে। বৃহস্পতিবার এই ব্যাপারে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। শুক্রবারের মামলার পর সেই সংশয় আরও গুরুতর হয়ে উঠল।
শুক্রবার দায়ের হওয়ার মামলা বিষয় হল টেটে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিএড বা ডিএড ডিগ্রিধারীদের পাশাপাশি, যাঁরা নির্দিষ্ট বিষয়ে পড়াশোনা করছেন তাঁদেরও যোগ্য বলে ধরা কতটা যুক্তিযুক্ত? আর সেজন্যই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে বদল দরকার। টেটের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে যোগ্যতা প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছিল, যাঁরা বিএড এবং ডিএড প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তাঁরাও টেট ২০২২-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। চাকরিপ্রার্থীদের একটি অংশ এই প্রসঙ্গেই আপত্তি তুলে মামলা করেছেন। মামলা হয়েছে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারও টেট নিয়ে মামলা উঠেছিল হাই কোর্টে। সেই মামলারও বিষয় ছিল, শিক্ষাগত যোগ্যতা। যদিও বৃহস্পতিবার এই মামলায় কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেয়নি হাই কোর্ট। গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ। তার পর থেকেই ওই বিজ্ঞপ্তির বিভিন্ন ধারা নিয়ে একের পর এক মামলা হচ্ছে হাই কোর্টে। তাতেই প্রশ্ন উঠছে নতুন টেট নিয়োগের ভবিষ্যৎ নিয়ে। উল্লেখ্য, স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের ফলে অস্বস্তিতে রয়েছে রাজ্য। এই অবস্থায় নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি আপাতত সমস্যা মেটাতে পারে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু উপর্যুপরি টেট বিজ্ঞপ্তি ঘিরে সমস্যার ফলে্ পরীক্ষার ভবিষ্যৎ নিয়ে আশ্ঙ্কা তৈরি হচ্ছে সব স্তরে।