বালেশ্বর: স্কুলে ভূতের ভয়! মনে হচ্ছে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রেতাত্মা। বাচ্চারা পড়তে আসতে ভয় পাচ্ছে। স্যার ও দিদিমণিরাও যে খুব নিশ্চিন্তে রয়েছেন তাও বলা যায় না। তাই পড়ুয়া, অভিভাবক ও শিক্ষক সকলের মিলিত অনুরোধে ভেঙে ফেলা হচ্ছে ‘অভিশপ্ত’ স্কুল বিল্ডিং। আশ্চর্য মনে হলেও সত্যি! বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনার পর স্থানীয় একটি স্কুলে অস্থায়ীভাবে মর্গ খোলা হয়েছিল। আর সেই কারণেই এখন স্কুলে আসতে ভয় পাচ্ছে পড়ুয়ারা। অভিভাবকরাও অতৃপ্ত আত্মা সন্তানের ক্ষতি করতে পারে ভেবে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে নারাজ। যদি সুস্থ ছেলে বা মেয়েকে ভূতে ধরে! তাই সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে গোটা স্কুলটাই ভেঙে ফেলার কাজ চলছে। সেখানে তৈরি হবে নতুন ভবন। নতুন করে বসবে স্কুল।
বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার পর এই সরকারি স্কুলে মৃতদেহ এনে সাময়িক সময়ের জন্য রাখা হয়েছিল। বালেশ্বরের এই বাহানগা হাইস্কুলের উঁচু ক্লাসের ছেলে এবং এনসিসি-র ক্যাডেটরাও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছিল। বিদ্যালয়ের বেঞ্চ, টেবিল-চেয়ার সরিয়ে স্তূপীকৃত করে রাখা ছিল মৃতদেহ। তারপর থেকেই স্কুল সম্পর্কে ভীতি ধরে গিয়েছে স্থানীয়দের মনে।
আরও পড়ুন: Municipality Scam | পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের ভর্ৎসনার মুখে ইডি
জানা গিয়েছে, স্কুল পরিচালন কমিটি রাজ্য সরকারের কাছে একটি আবেদন জমা দেয়। এই বাড়িটি ভেঙে ফেলার কথা বলে তারা। কারণ হিসেবে সরকারকে তারা বলে, কেউ এই বাড়িতে ক্লাস করতে চাইছে না। পড়ুয়া ও অভিভাবকরা আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা প্রমীলা সোয়াইন বলেন, বাচ্চারা ভয়ে রয়েছে। তিনি আরও জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে শ্রাদ্ধশান্তি ও পারলৌকিক ক্রিয়ার বন্দোবস্ত করা হবে। এতে স্থানীয়দের আতঙ্ক কিছুটা কমবে বলে তিনি মনে করেন।
বালেশ্বরের জেলাশাসক দত্তাত্রেয় ভাউসাহেব শিন্ডে বৃহস্পতিবার স্কুল পরিদর্শনে এসেছিলেন। তিনি জানান, স্কুল কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। সেখানে প্রধান শিক্ষিকা ও অন্য শিক্ষকক-কর্মচারীরাও ছিলেন। তাঁরা সকলেই চাইছেন, পুরনো বাড়িটি যাতে ভেঙে ফেলা হয়। তার বদলে নতুন বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।