জলপাইগুড়ি: অসুস্থ একটি হাতিকে (Elephnat) জঙ্গল (Forest) থেকে বের করে গরুমারায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা (Treatment) করাতে বেজায় বিপাকে বন দফতরের কর্তারা। শুক্রবার বিকেলে পর্যন্ত হাতিটিকে ট্রাকে তুলতে বনকর্মীদের কালঘাম ছুটে যায়। যার মূল কারণ হাতিটির দুর্বল (Week) অবস্থা। সংক্রমিত হয়ে এবং পায়ে, পেটে চোট পেয়ে খুবই করুণ অবস্থা হয়েছে হাতিটির। দুর্বলতা এতটাই যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতেই পারছে না।
বন দফতরের পশু চিকিৎসক শ্বেতা মণ্ডলের তত্বাবধানে হাতিটির চিকিৎসা চলছে। জলপাইগুড়ি বন বিভাগের ডিএফও (DFO) বিকাশ ভি, গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের এডিএফও জন্মেজয় পাল, সহ বন দফতরের বিভিন্ন আধিকারিক এবং বন কর্মীরা হাতিটিকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করেন। শুক্রবার সকাল থেকেই হাতিটির চিকিৎসার জন্য বন দফতরের কর্তারা এবং পশু চিকিৎসকদের একটি দল ডায়নার জঙ্গলে পৌঁছে যান। প্রথমে তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পর খেতে দেওয়া হয়। কিন্তু খাওয়া একেবারেই ছেড়ে দেওয়ায় হাতিটিকে নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: TMC Win: দেউলিয়া সমবায় নির্বাচনে জয় তৃণমূলের
বন দফতর (Forest Office) সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনই গরুমারা থেকে ৪টি পোষা হাতি আনা হয়। পোষা হাতি দিয়ে প্রথমে অসুস্থ হাতিটিকে খানিকটা আশ্বস্ত করানো হয়। তারপর তার চিকিৎসা শুরু হয়। তারপর বেলা বাড়তেই হাতিটিকে জঙ্গল থেকে বের করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যার কারন, জঙ্গলের মধ্যে রেখে হাতিটির চিকিৎসা করা খুবই সমস্যার। তাছাড়া তার সঙ্গী সাথী অন্যান্য হাতির দল আশেপাশে ঘুরে বেড়ানোয় চিকিৎসা করাতে অসুবিধা হচ্ছিল। এরপরই একটি ট্রাক নিয়ে আসা হয়, পোষা হাতিগুলির সাহায্য নিয়ে হাতিটিকে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তা সম্ভব হয় নি। তবে অন্য কোনও ব্যবস্থা করে হাতিটিকে সুস্থ (Fit) করে তোলার চেষ্টা চালানো হবে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।