কলকাতা: আবার ১৪ দিনের জন্য জেলই ঠিকানা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) সহ সাত শিক্ষা কর্তার। বৃহস্পতিবার আলিপুরের বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালত তাঁদের জামিনের (Bail) আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। বিচারক অর্ণব চক্রবর্তী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পার্থদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। হেফাজতের সময়সীমা শেষ হওয়ায় এদিন আলিপুর সিবিআই বিশেষ আদালতে তোলা হয় নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় (Kalyanmoy GangoPadhyay) , স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya) সহ মোট সাত জনকে।
মামলার শুনানি শুরুর আগেই এদিন বিচারকের প্রশ্নের মুখে পড়েন সিবিআইয়ের (CBI) আধিকারিকরা। আদালত জানতে চায়, যাঁরা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ বা গ্রেফতার করা হয়নি কেন। আদালত বলে, হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল টাকার বিনিময়ে চাকরি প্রাপকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রয়োজনে গ্রেফতার করতে হবে। আদালতের আরও প্রশ্ন, সিবিআইয়ের তদন্তের গতি এত ধীর কেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী জানান, জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া চলছে। যত দ্রুত সম্ভব প্রক্রিয়া শেষ করার চেষ্টা চলছে। আদালতের নির্দেশ, তদন্ত দ্রুত শেষ করতে হবে।
আরও পড়ুন:WhatsApp Banned: ডিসেম্বরে ব্যান হয়েছে ৩৬.৭৭ লক্ষ ভারতীয় ইউজারের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট
বিচারক সিবিআইয়ের (CBI) কাছে আরও জানতে চায়, এর আগে মণ্ডল টাইটেলের যে দুজনের কথা উঠে এসেছিল তাঁদের সম্পর্কে আর কী নতুন তথ্য আছে। সিবিআই জানায়, দুজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে। তদন্ত চলছে। প্রয়োজনে তাঁদের গ্রেফতার করা হবে। বিচারক বলেন, প্রতারক ওই দুই মণ্ডলকে খুঁজে বার করতেই হবে। শৃঙ্খলতা ভাঙতে হবে। না হলে টাকার লেনদেনটা স্পষ্ট হবে না। শুনানি চলাকালীনই উঠে আসে জনৈক ক্ষিতিস দাশের প্রসঙ্গ। আদালতের প্রশ্নের জবাবে সিবিআই জানায়, তিনি এক চাকরিপ্রার্থীর বাবা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি, বিচারক তা জানতে চান।
এদিনই কলকাতা হাইকোর্টেও (Calcutta High Court) প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের তোপের মুখে পড়েন সিবিআই আধিকারিকরা। বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, সিবিআই বোগাস। আমাকেই তদন্ত করে প্রধানমন্ত্রীকে রিপোর্ট দিতে হবে। এখন তো দেখছি সিবিআইয়ের বদলে ব্রিটেন থেকে তদন্তকারী সংস্থাকে নিয়ে আসতে হবে। বিচারপতি তদন্তকারী সিবিআই (CBI) আধিকারিকদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি সম্পর্কেও খোঁজখবর করার উপর জোর দেন। এর আগেও একাধিকবার সিবিআই তদন্তের দেরি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।