কুলতলি: একসময় এ রাজ্যে বাম দুর্গ ভাঙা বিরোধীদের (Opposition) কাছে বড়সড় চ্যালেঞ্জের ছিল। শেষমেষ বহু লড়াইয়ের পর ৩৪ বছরের বাম সরকারকে সরাতে সম্ভব হয়েছিল তৃণমূল (TMC)। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বইয়ে গিয়েছে। এখন বিধানসভায় একজনও সিপিএম (CPM) সদস্য নেই। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে যা নজির। ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু সিপিএমকে আবার মাঠে, ময়দানে আন্দোলনে দেখা যাচ্ছে। সেখানে ভিড় হচ্ছে। সম্প্রতি সাগরদিঘি (Sagardighi) বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে জোট করেছিল বামেরা। সেখানে জিতেছে জোটের কংগ্রেস প্রার্থী। মুর্শিদাবাদ সহ বিভিন্ন জেলায় সিপিএমের মিটিংয়ে ভিড় বাড়ছে। এবার তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগ দিল প্রায় আড়াই হাজার পরিবার।
কুলতলি (Kultoli) বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের বড়সড় ভাঙ্গন। প্রায় আড়াই হাজার পরিবার ও ৫০ জন সক্রিয় কর্মী-নেতা তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিলেন সিপিএম (CPIM) দলে। চুপড়িঝাড়ায় (Chuprijhara) তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল কমিটির সভাপতি রবিউল হক মোল্লা তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দেন সিপিএমে। এদিন তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী কান্তি গাঙ্গুলী। রবিউল হক তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া নিয়ে বলেন, যে পার্টির নেতা মন্ত্রী সবাই চোর সেই পার্টিতে থেকে উপকার করা যায় না। তাই তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দেওয়া। যদিও কুলতলির তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি পিন্টু প্রধান জানান, তৃণমূল কংগ্রেস থেকে অনেকদিন আগেই রবিউলকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে কেউই সিপিএম পার্টিতে যোগ দেয়নি এসবই লোক দেখানো।
আরও পড়ুন: Gold Price | সোনার দামে লাগল আগুন
সংখ্যা তুলনায় অল্প হলেও এই ঘটনায় উজ্জীবিত সিপিএম শিবির। এগিয়ে আসছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এই ঘটনায় দলের শক্তি বাড়বে বলে তাঁদের মত।