শিবসেনা নামে দেশে আপাতত কোনও দল নেই৷ তির-ধনুকও আর নির্বাচনী প্রতীক নেই৷ এদিকে ভোট বড় বালাই৷ মহারাষ্ট্রে উপনির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা৷ তাই উদ্ধব শিবির সময় নষ্ট করেনি৷ রবিবারই তির-ধনুকের বিকল্প হিসেবে নতুন তিনটি প্রতীক চিহ্ন এবং ‘শিবসেনা’র বদলে দলের নতুন তিনটি নাম নির্বাচন কমিশনে পাঠালেন উদ্ধব ঠাকরে। নিজের ব্র্যান্ড ছাড়াই অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে নামতে হচ্ছে উদ্ধবকে৷
নির্বাচন কমিশন শনিবার জানিয়েছে, উদ্ধব ঠাকরে বা একনাথ শিন্ডে, কোনও গোষ্ঠীই শিবসেনা নামটি ব্যবহার করতে পারবে না৷ নির্বাচনী প্রতীক ‘তির-ধনুক’ নিয়েও ভোটে লড়াই করা যাবে না৷ ভোটে লড়তে হলে বিকল্প কোনও প্রতীক এবং নাম ব্যবহার করতে হবে শিবসেনার বিবদমান দুই গোষ্ঠীকেই। মহারাষ্ট্রে উপনির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা৷ তাই উদ্ধব শিবির সময় নষ্ট করেনি৷ রবিবারই তির-ধনুকের বিকল্প হিসেবে নতুন তিনটি প্রতীক চিহ্ন এবং শিবসেনার বদলে দলের নতুন তিনটি নতুন নাম নির্বাচন কমিশনে পাঠালেন উদ্ধব ঠাকরে। বালাসাহেব ঠাকরের স্বপ্নের দল শিবসেনা এবং সেই দলের প্রতীক ধরে রাখতে পারলেন না তাঁর পুত্র উদ্ধব৷
আরও পড়ুন: Arvind Kejriwal: ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ভাইরাল ভিডিয়োর জের, কেজরির মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা আপ নেতার
আগামী ৩ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের আন্ধেরি-পূর্ব আসনে উপনির্বাচন৷ এই আসনে প্রার্থী দিয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা শিবির৷ তাই উদ্ধবের এখনই দরকার নতুন দলের নাম এবং নতুন নির্বাচনী প্রতীক৷ না হলে ভোটের প্রচার হবে কীভাবে৷
সূত্রের খবর, কমিশনে উদ্ধব-শিবির শিবসেনার পরিবর্তে দলের নতুন তিনটি নাম জমা দিয়েছে৷ উদ্ধব প্রথমে চেয়েছেন ‘শিবসেনা বালাসাহেব ঠাকরে’ নামটি৷ দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পছন্দ হিসেবে দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে ‘শিবসেনা উদ্ধব বালাসাহেব’ এবং ‘শিবসেনা বালাসাহেব প্রবোধঙ্কর’ নাম৷
একই সঙ্গে তির-ধনুকের পরিবর্তে নতুন প্রতীকের আবেদনও করেছে উদ্ধব শিবির৷ ত্রিশূল, উদিত সূর্য এবং মশাল, এই তিন প্রতীকের যে কোনও একটি তাঁর দলকে বরাদ্দ করার আর্জি জানিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে৷ এক্ষেত্রে প্রথম পছন্দ ‘ত্রিশূল’। দ্বিতীয় পছন্দ ‘উদিত সূর্য’ এবং তৃতীয় পছন্দ ‘মশাল’ হিসেবেই আর্জি উদ্ধবের৷ দলের নাম এবং প্রতীক দ্রুত বরাদ্দ করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি৷ কমিশন জানালেই আন্ধেরি পূর্ব আসনে আসন্ন উপনির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে উদ্ধব ঠাকরে শিবির৷
প্রসঙ্গত, শিবসেনা তির-ধনুককে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে পায় ১৯৮৯ সালে। উদ্ধব এবং শিন্ডের লড়াইয়ের জেরেই নির্বাচন কমিশন ওই প্রতীককে ‘ফ্রিজ’ করেছে৷ এখন দেখার দলের নতুন নাম এবং প্রতীক নিয়ে উপনির্বাচনে সফল হতে পারেন কি না উদ্ধব ঠাকরে৷ একনাথ শিন্ডে আপাতত এই সমস্যায় পড়েননি৷ কারণ এই উপনির্বাচনে শিন্ডে প্রার্থী দেননি৷ আসনটি ছাড়া হয়েছে শরিক বিজেপিকে৷ শিন্ডে গোষ্ঠী সমর্থন করছে বিজেপি প্রার্থীকে৷
