হিন্দুত্ববাদীদের সভায় এবার সংখ্যালঘুদের অর্থনৈতিকভাবে বয়কটের ডাক দিলেন দিল্লির বিজেপি সাংসদ পারভেশ ভার্মা। উত্তর-পূর্ব দিল্লির দিলশাদ গার্ডেন এলাকায় রবিবার একটি সভার আয়োজন করেছিল বেশ কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। নাম দেওয়া হয়েছিল বিরাট হিন্দু সভা। ওই সভায় অন্যান্যদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম দিল্লির সাংসদ পারভেশ ভার্মা। এদিকে দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে তাঁদের কাছেও অভিযোগ এসেছে ওই সভায় বিভিন্ন বক্তার উগ্র বিদ্বেষমূলক বক্তব্য পেশের মত অভিযোগ নিয়ে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রবিবার দিলশাদ গার্ডেনের ওই সভার একটি ভিডিয়োয় বিজেপি সাসংদ পারভেশ ভার্মাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ওদেরকে শিক্ষা দিতে গেলে একটাই পথ বেছে নিতে হবে। য়েটা হচ্ছে পুরোপুরি বয়কট করা। এরপর শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা বুঝতে পারছেন তো আমি কি বলতে চাইছি। আপনারা যদি একমত হন তাহলে হাত তুলে আমাকে সমর্থন করুন আর আমার সঙ্গে গলা মিলিয়ে বলুন আমরা ওদের দোকান থেকে কিছু কিনব না। ওদের কোথাও কাজ দেব না।
ওই বিরাট হিন্দু সভার ডাক দেওয়া হয় সম্প্রতি পূর্ব দিল্লির সুন্দর নগরীর একটি ঘটনার জেরে। স্থানীয় বাসিন্দা মনীশ নামে এক ব্যক্তিকে তিনজন মিলে বারবার ছুরি দিয়ে কোপানোর একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসলে শোড়গোল পড়ে যায়। অন্তত কুড়িবার তাঁকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে ওই তিন দুষ্কৃতী। ওই ঘটনার সময় আশপাশের লোকজনকে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এব্যাপারে পুলিশ যে চারজনকে গ্রেফতার করে তারা সকলেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। যদিও তদন্তকারী অফিসারদের দাবি ছিল, পুরোন শত্রুতার জেরেই খুন করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে।
উগ্র-বিদ্বেষমূলক ভাষণের অভিযোগ ওঠায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদে্র দিল্লি শাখার প্রধান কপিল খান্না বলেন, “রবিবারের ওই সভার নাম দেওয়া বিরাট হিন্দু সম্মেলন। জানি না কে কি ভাষণ দিয়েছে ওই সভায়। তবে সুন্দর নগরীর ঘটনার ব্যাপারে আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট। এক্ষেত্রে আইনমাফিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ওই ঘটনায় আমাদের আর কোনও দাবি নেই।“