কলকাতা: ২০২২ এর টেটের (Primary TET 2022) ফল প্রকাশ পেয়েছে। সাড়ে ছয় লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন মাত্র দেড় লক্ষ। কিন্তু তার পরেও চিন্তা পিছু ছাড়ছে না পরীক্ষার্থীদের। সেই দেড় লক্ষ টেট উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্ন একটাই চাকরিটা কবে হবে? কারণ ২০১২, ২০১৪, ২০১৭ সালের নিয়োগসংক্রান্ত একাধিক মামলা হাইকোর্টে ঝুলে রয়েছে। নানান জটিলতার কারণে পিছিয়ে যাচ্ছে নিয়োগের প্রক্রিয়া। সেই মামলা গুলির নিষ্পত্তি হলে, তাঁরা চাকরি পেলে তবেই ২০২২ সালের নিয়োগ হবে। উল্লেখ্য, ২০১২, ২০১৪, ২০১৭ সালে যাঁরা টেট পাশ করেছেন তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সেটা নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলে শিক্ষাদফতরের কাছে নতুন করে শূন্যপদ চাওয়া হবে। দফতর শূন্যপদ দিলে সেই জায়গায় চাকরি পাবেন ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণরা।
২০১২, ২০১৪, ২০১৭ সালে যাঁরা টেট পাশ করেছেন তাঁদের মাধ্যমিকের নম্বরের সঙ্গে যাঁরা ২০২২ সালে টেট দিয়েছেন তাঁদের মাধ্যমিকের নম্বরের বিস্তর ফারাক। সেই তফাৎ যে মেধার জন্যই তা নয়। এর পিছনে রয়েছে পরীক্ষার ধরন, নম্বরের বিন্যাসের পদ্ধতিও। তাই কলকাতা হাইকোর্ট থেকে ইতিমধ্যে সমতা বিধানের একটি কমিটি গঠন করেছে। যাঁরা এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করবেন।
আরও পড়ুনAir Asia: পাইলট প্রশিক্ষণে বেনিয়ম, ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা Air India-কে
এবারের টেট পরীক্ষা নিয়ে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বারবার বলেছেন, ‘স্বচ্ছতাই এবার নিয়োগের শেষ কথা’। একইসঙ্গে তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে দ্রুত নিয়োগের পথেই হাঁটবেন তাঁরা। তাঁর কথায়,’ ২০১২, ২০১৪, ২০১৭ সালে যাঁরা টেট পাশ করেছেন বর্তমানে তাঁদের নিয়োগ পদ্ধতি চলছে। ইতিমধ্যেই ১০টা জেলার নিয়োগ শেষ। পূর্ববর্তী বছরের প্রার্থীদের নিয়োগের কাজ শেষ হলেই আমি নতুন করে স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে শূন্যপদ চাইব। তারপরেই নতুনদের নিয়োগের বিজ্ঞাপণও দিতে পারব।’