তাপমাত্রার পারদ যে হারে চড়ছে তাতে গ্রীষ্মের দাবদাহ যেন দরজায় কড়া নাড়ছে। তাই ঘন ঘন চা, কফির মতো ক্যাফেন যুক্ত পানীয় খাওয়ার পরিমান কিছুটা কম করে শরীর সুস্থ রাখতে বাটারমিল্ক বা ঘোল খাওয়ার অভ্যেস করলে উপকার পাবেন। আয়ুর্বেদে এই টাকরা বা বাটারমিল্কের বেশ সুনাম আছে। বাটারমিল্কের উপকারিতার প্রশংসা করতে গিয়ে অমৃতের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে এই বাটারমিল্কের। বলা হয়েছে দেবতাদের কাছে যেমন অমৃত তেমনই মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই টাকরা বা বাটারমিল্ক বা ঘোল।
স্বাস্থ্যের জন্য বাটারমিল্ক ঠিক কতটা উপকারী তা নিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছেন আয়ুর্বেদের চিকিত্সক ডাঃ দিক্ষা ভাওসার। শুধুমাত্র একটি সুস্বাদু পানীয় হিসেবেই নয় বরং নানান রোগের চিকিত্সায় ও শরীর ভাল রাখতে ব্যবহার করা হয় এই বাটারমিল্ক। এই ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বাটারমিল্ক খাওয়ার উপকারিতার কথা জানালেন তিনি। যেমন-
বাটারমিল্ক সহজপাচ্য, কিছুটা হাল্কা টক স্বাদের এই পানীয় হজম ক্ষমতা বাড়ায় এবং সর্দি ও বাতের ব্যথায় কার্যকর।
আয়ুর্বেদে এটা ইনফ্লেমেশন, হজমের গন্ডগোল, গ্যাস্ট্রোইন্টেশটিনাল গন্ডগোলে, খাবারে অনিহা, লিভারের সমস্যা এমনকি অ্যানিমিয়ার সমস্যায় এই বাটারমিল্কের ব্যবহার করা হয়।
বাড়িতে এইভাবে বানিয়ে নিন বাটারমিল্ক
উপকরণ
- দই- ১/৪ কাপ
- জল- ১ কাপ
- নুন স্বাদমতো
- জিরে সেঁকে গুঁড়ো করে রাখা- ১/২ চা চামচ
- পুদিনা পাতা
- ধনেপাতা
- আদা কুচোনো কিংবা শুকনো আদা গুঁড়ো
আরও পড়ুন: গাটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন এই সব খাবার
কীভাবে বানাবেন এই বাটারমিল্ক বা ঘোল, দেখে নিন
একটি পাত্রে দই ও জল মিশিয়ে নিন। এতে নুন, জিরে গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে হ্যান্ড ব্লেন্ডারে দিয়ে ঘোল বানিয়ে নিন।
এবার এই পানীয়কে ধনেপাতা কুচি, পুদিনা পাতা ও কারিপাতা দিয়ে গার্নিশ করে নিন।
দুপুরের খাবারের পর এই বাটারমিল্ক খেলে উপকার পাবেন সব থেকে বেশি।
(ছবি সৌ: Unsplash)