কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: বিজেপি এবং আরএসএসকে পরাজিত করতে সব বিরোধী দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এটা নীতি-আদর্শের লড়াই এবং এই লড়াইয়ে সব বিরোধী দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যে করেই হোক বিজেপি এবং আরএসএসকে হারাতেই হবে। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে হিন্দুস্তানে কেবলমাত্র রাগ ও হিংসাই শুধু বেড়েছে। সাধারণ মানুষের ন্যূনতম চাহিদার দিকে নজর দেওয়া হয়নি। রবিবার রাজধানী দিল্লির রামলীলা ময়দানে আয়োজিত কংগ্রেসের বিশাল সমাবেশে এই ভাষাতেই মোদি সরকারকে আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধী। এদিন কংগ্রেসের হল্লা বোল মিছিলে অনেক নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ। যদিও পুলিশের তরফে এর সত্যতা অস্বীকার করা হয়েছে।
এদিনের ভাষণে রাহুল বলেন, প্রচারমাধ্যম ও ২ জন নির্দিষ্ট ব্যবসায়ীর সমর্থন ছাড়া মোদি ক্ষমতায় আসতেই পারতেন না। আর সেই প্রচারমাধ্যমও হল বিশেষ দুই কর্পোরেট হাউসের। দেশের মানুষ জানে, এই চ্যানেলগুলি কাদের আর তারা কাদের হয়ে কাজ করছে। টিভিও এই দুই ব্যবসায়ীর এবং সংবাদপত্রও এই দুজনেরই। নরেন্দ্র মোদি এই দুই ব্যবসায়ীর জন্য কাজ করেন, আর এঁরাও মোদির হয়ে কাজ করেন।
আরও পড়ুন: লোকসভায় পঞ্চাশে নামিয়ে আনা যাবে বিজেপিকে, হুঁশিয়ারি নীতীশের
দেশের সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের উপর এরা চাপ সৃষ্টি করে রেখেছে। বিচারবিভাগও তার বাইরে নেই। ফলে এখন আমাদের মানুষের কাছে গিয়ে সত্য প্রকাশ করতে হবে, বলেন রাহুল। মোদি ক্ষুদ্র ও মধ্য ব্যবসায়ীদের শিরদাঁড়া ভেঙে দিয়েছেন। দেশ এখন চাইলেও কর্মসৃষ্টি করতে পারবে না। কারণ এই দুই ব্যবসায়ী চান না, মানুষের হাতে কাজ আসুক।
রাহুল আরও বলেন, আমি ইডিকে ভয় পাই না। ইডি আমাকে ৫৫ ঘণ্টা জেরা করেছে। আমি তাতে ভয় পাই না, সেটা ৫ মাস হোক কিংবা ৫ বছর হোক। নরেন্দ্র মোদির চান, দেশের বিরোধীরা নিজেদের মধ্যে দলাদলি করে মরুক। আর তার ফায়দা তিনি গুটিকয়েক ব্যবসায়ীর মধ্যে ভাগ করে দেবেন। গত ১০ বছরে মোদি সরকার ২৩ কোটি জনতাকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছেন। দেশকে পিছন দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন মোদি। যাতে লাভবান হতে পারে পাকিস্তান, চীন। তাঁর জমানায় ভারতকে দুর্বল করেছেন মোদি।