উদয়পুর: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত যুগলকে যৌনতায় লিপ্ত হতে বাধ্য করলেন এক তান্ত্রিক। অভিযোগ, ওই তান্ত্রিকের সামনেই যৌনতায় লিপ্ত হতে যুগলকে বাধ্য করা হয়। এরপর ওই যুগলের গায়ে ফেভিকুইক ঢেলে মেরে ফেলার ঘটনা ঘটল রাজস্থানের উদয়পুরে। ঘটনার তিনদিন পর যুগলের নগ্ন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, আঠার কারণে ওই যুগলের শরীর থেকে চামড়া বেড়িয়ে যায়। অভিযুক্ত ওই তান্ত্রিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম ভালেশ কুমার।
জানা গিয়েছে, ৩০ বছরের রাহুল মিনা এবং ২৮ বছরের সোনু কুঁয়ার দুজনেই বিবাহিত। অনেকদিন আগে থেকেই ওই দুজনের পরিবারের সদস্যদের আনাগোনা ছিল। সেখান থেকেই রাহুল ও সোনু পরিচয়। তারপর প্রেম এবং শেষে বিয়ে। এদিকে রাহুলের স্ত্রীর প্রেমে পড়েন ভালেশও। প্রেমের বিষয়টি ভালেশও জানিয়ে দেন রাহুলের স্ত্রীকে। এরপরই শুরু গোলমাল।
ভালেশের দাবি, জানাজানি হওয়ার পর রাহুল ও সোনু তাকে হুমকি দেন। তাকে বলা হয়, এই বিষয় মুখ খুললে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করে তাঁকে গ্রেফতার করিয়ে দেওয়া হবে। সুনাম নষ্ট হওয়ার ভয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভালেশ। রাহুল ও সোনুকে ডেকে বলেন, তাঁর সামনে দুজনকে যৌনতায় লিপ্ত হতে হবে। তা হলেই দুজনের মনস্কামনা পূর্ণ হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে থেকেই ফেভিকুইক মজুত করেছিল ভালেশ। জঙ্গলের মধ্যে একটি নির্জন জায়গায় যুগল তাঁর সামনে যৌনতায় লিপ্ত হতেই সেই ফেভিকুইক দুজনের গায়ে ঢেলে দেয়। সেই অবস্থাতেই মৃত্যু হয় ওই দুজনের। আঠা থেকে বেরনোর চেষ্টা করেছিলেন রাহুল ও সোনু। পরিস্থিতি এমন হয় যে রাহুলের যৌনাঙ্গ শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ভালেশ দুজনেরই গলায় ছুড়িও চালায়। তিন দিন পর পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে।
প্রাথমিক তদন্ত শুরু করতেই এইসব তথ্য পাওয়া যায়। গ্রেফতার করা হয় ভালেশকে। পুলিশের জেরার মুখে সমস্ত কথা স্বীকার করে নেন তিনি। আদালত ভালেশকে ৩ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।