একেবারেই অনভিপ্রেত কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর (Union Law Minister) মন্তব্য। বিচারপতি নিয়োগে কলেজিয়াম ব্যবস্থা প্রসঙ্গে কিরেণ রিজিজুর (Kiren Rijiju) বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে জানিয়ে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। সোমবার একটি মামলার শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিকাশ সিং বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। এরপরেই শীর্ষ আদালতের দুই সদস্যের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর বক্তব্য মোটেই গ্রহনযোগ্য নয়।
সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারের সময় কিরেণ রিজিজু বিচার বিভাগকে উদ্দ্যেশ্য করে বলেন, কখনও একথা বলবেন না যে আমরা ফাইলের উপর চেপে বসে আছি। আমরা কাজের মধ্যে আছি। আর যদি মনে করেন আমরা দেরি করছি তাহলে নিজেরাই নিয়োগের কাজ সেরে ফেলুন। সরকারকে আর ফাইল পাঠানোর দরকার নেই।
বিচারপতি নিয়োগে কলেজিয়ামের বেশ কিছু প্রস্তাব দীর্ঘদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র। আর এই প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালতের সঙ্গে কার্যত দড়ি টানাটানি চলছে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের। সোমবার এজলাসে শুনানির সময় শীর্ষ আদালতের (Apex Court) তরফে অ্যাটর্নি জেনারেলকে (Attorney General) কড়া বার্তায় জানানো হয়, অনেকেরই আইন ব্যবস্থা সম্পর্কে কোনওরকম সমস্যা থাকতেই পারে। কিন্তু সব শেষে সেই আইন মেনে আমাদের চলতে হবে। কারন এটা আমাদের দেশের আইন।
২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ন্যাশনাল জুডিসিয়াল অ্যাপয়ন্টমেন্ট কমিশন (NJAC) গঠন করে বিচারপতি নিয়োগের একটা প্রক্রিয়া চালুর চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু বিচার বিভাগের নানা স্তর থেকে আপত্তি ওঠায় সেটি আর কার্যকরী হয়নি। এদিন সে প্রসঙ্গও তুলে বিচারপতি কল আর বিচারপতি ওকার বেঞ্চ জানতে চায় জুডিসিয়াল কমিশন ব্যবস্থা কার্যকরী না হওয়ার জন্যই কি এভাবে আটকে রাখা হচ্ছে কলেজিয়ামের (Collegium System) পাঠানো প্রস্তাব।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরু অ্যাডভোকেট অ্যাসোসিয়েশনের আনা একটি আদালত অবমাননার মামলার শুনানিতে সোমবার কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের এভাবেই সমালোচনা করে শীর্ষ আদালত। কলেজিয়ামের পাঠানো এগারোজন বিচারপতি নিয়োগের প্রস্তাব কেন্দ্র দীর্ঘদিন আটকে রেখেছে এই যুক্তিতেই রুজু হয় ওই আদালত অবমাননা মামলা।