নয়াদিল্লি: আগামী বছর ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয়ার্ধে অর্থাৎ বাজেট অধিবেশনের পরেই ছত্তিশগড়ের রাইপুরে (Chhattisgarh’s Raipur) হবে কংগ্রেসের (Congress) ত্রি-দিবসীয় প্লেনারি অধিবেশন (Plenary Session)। রবিবার কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের পর দলের তরফে এই ঘোষণা করা হয়। মল্লিকার্জুন খাড়্গে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম তাঁর সভাপতিত্বে বসল স্টিয়ারিং কমিটির (Steering Committee) বৈঠক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের প্রাক্তন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীও (Sonia Gandhi)।
একইসঙ্গে কংগ্রেস জানিয়েছে, দলের নেতা রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra) শেষ হওয়ার পরই তারা ফের জনসংযোগকারী কর্মসূচি নেবে। ‘হাত সে হাত জোড়ো অভিযান’ (Haath se haath jodo abhiyaan) নামে এই কর্মসূচি শুরু হবে ২৬ জানুয়ারি থেকে। দু’মাস ব্যাপী এই পদযাত্রায় রাহুল গান্ধীর বার্তা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেবে কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ‘চার্জশিট’ দেবে দল। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালেই রয়েছে বেশ কয়েকটি বিধানসভার ভোট এবং তার পরের বছরই লোকসভা নির্বাচন। ফলে, তার আগে জনমত গঠনে মোদি সরকারের ব্যর্থতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেওয়া নেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে।
আরও পড়ুন: The Kashmir Files Row: দ্য কাশ্মীর ফাইলস বিতর্কে এবার নাদাভ লাপিডের পাশে আরও ৩ জুরি
স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের পর কে সি বেণুগোপাল এক সাংবাদিক সম্মেলনে দলের বিবৃতি পাঠ করে শোনান। সেখানেই তিনি বলেন, ৮৫-তম প্লেনারি অধিবেশন ফেব্রুয়ারিতে হবে। অধিবেশনে শেষে বিরাট জনসভার করারও পরিকল্পনা রয়েছে। ‘হাত সে হাত জোড়ো অভিযানে’ ব্লকস্তরে পদযাত্রা করে সব গ্রাম পঞ্চায়েত এবং বুথে প্রচার চালানো হবে। দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, চলতি ভারত জোড়ো যাত্রা আনুমানিক ২৬ জানুয়ারিতেই শ্রীনগরে শেষ হবে। এই বৈঠকে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাহুলের ‘তপস্যা’, অপরাজেয় মনোভাব, দেশপ্রেম এবং যাত্রার সাফল্য দেখে অনেকেই গালমন্দ, কটাক্ষ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনায় বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশ যখন বিপদে সম্মুখীন তখন প্রধানমন্ত্রী পাশ কাটিয়ে বেড়াচ্ছেন, বিভাজনের রাজনীতি করছেন। গুজরাত ও হিমাচল প্রদেশের ভোট প্রচারে তিনি যে ভাষায় কথা বলেছেন তারও নিন্দা করেছে স্টিয়ারিং কমিটি। রাহুল গান্ধী ছাড়া অশোক গেহলট, ভূপেশ বাঘেল, পি চিদম্বরম, আনন্দ শর্মা, মীরা কুমার এবং অম্বিকা সোনি বৈঠকে ছিলেন।