নয়াদিল্লি: আজ, সোমবার নোটবন্দি (Demonetisation) মামলার রায়দান সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় সরকার কালো টাকা (Black Money) ধরতে যে নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা নিয়ে একাধিক জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। তা নিয়ে শীতের ছুটির পর নতুন বছরের প্রথম রায়টি আজ দিতে পারে সর্বোচ্চ আদালত।
বিচারপতি এস আবদুল নাজিরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ গত ৭ ডিসেম্বর রায়দান স্থগিত রাখে। বেঞ্চের অপর সদস্য এ এস বোপান্না এবং ভি রামসুব্রহ্মণম কেন্দ্র এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে নোটবন্দির সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ার তথ্যাবলি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। প্রসঙ্গত, বিচারপতি নাজির অবসর নিচ্ছেন আগামী ৪ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন: Joka-Taratala Metro: আজ থেকে চাকা গড়াবে জোকা-তারাতলা মেট্রোর
নোটবন্দি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চলা মামলার এক শুনানিতে কেন্দ্র জানিয়েছিল, নোট বাতিল শুধু নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) একার সিদ্ধান্ত নয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (Reserve Bank of India) সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার পরেই ৬ বছর আগে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আদালত জানতে চায়, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত না নিলে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের পরামর্শ ছাড়াই কি সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হত?
নোট বাতিলের ঘোষণার পর এটিএমের লাইনে দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে থাকা শতাধিক মানুষের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে বারবার। নগদের অভাবে ছোট ও খুচরো ব্যবসায় ধাক্কা— তাই এই সিদ্ধান্তে আদপে লাভ কী হল? এই প্রশ্নই সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা মামলায় তোলা হয়েছে। কেন্দ্র এর আগে শীর্ষ আদালতে জানিয়েছে, নোট বাতিল (Demonetisation) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল জাল নোট, সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত, কালো টাকা এবং কর ফাঁকি বন্ধ করতে।
২০১৬ সালে হঠাৎ জরুরি ঘোষণায় ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) নরেন্দ্র মোদি। ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। ওই দিন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, এই বিষয়ে জবাবদিহি করা কেন্দ্রের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। শীর্ষ আদালতের বিচারপতিদের বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে দেশের আমজনতার আদৌ লাভ হয়েছে কি না, এই হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে কেন্দ্রকে।