১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দ উত্তর কলকাতার দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এই দত্ত পরিবারের আদি নিবাস ছিল বর্ধমানে কালনা মহকুমার দত্ত ডেরেটোনা গ্রাম। তাঁর পূর্বাশ্রমের নাম নরেন্দ্রনাথ দত্ত। ডাকনাম ছিল বিলে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে দত্ত পরিবারের সদস্য রামনিধি দত্ত তাঁর পুত্র রামজীবন দত্ত ও পৌত্র রামসুন্দর দত্তকে নিয়ে কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম ও ময়দান অঞ্চলে চলে আসেন। পরে উত্তর কলকাতায় চলে আসে দত্ত পরিবার।
আরও পড়ুন, শীতকালে ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে কী করবেন?
১৮৮৬ সালের ডিসেম্বর মাসে নরেন্দ্রনাথের গুরুভ্রাতা বাবুরামের মা নরেন্দ্রনাথ ও অন্যান্য সন্ন্যাসীদের আঁটপুর গ্রামে আমন্ত্রণ জানান। তাঁরা সেই নিমন্ত্রণ রক্ষা করে হুগলি জেলার আঁটপুরে যান এবং কিছুদিন সেখানে থাকেন। আঁটপুরেই বড়দিনের পূর্বসন্ধ্যায় নরেন্দ্রনাথ-সহ আটজন আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন। তাঁরা রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের মতো জীবনযাপনের সিদ্ধান্ত নেন। নরেন্দ্রনাথ স্বামী বিবিদিষানন্দ নাম গ্রহণ করেন। শিকাগো যাওয়ার পথে তিনি বিবেকানন্দ নাম গ্রহণ করেন।
স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন একজন হিন্দু সন্ন্যাসী, দার্শনিক, লেখক, সংগীতজ্ঞ এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর ভারতীয় অতীন্দ্রিয়বাদী রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রধান শিষ্য। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে হিন্দুধর্ম তথা ভারতীয় বেদান্ত ও যোগ দর্শনের প্রচারে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। ভারতে হিন্দু পুনর্জাগরণের তিনি ছিলেন অন্যতম প্রবক্তা। ১৮৯৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় ভাষণের মাধ্যমে তিনি পাশ্চাত্য সমাজে প্রথম হিন্দুধর্ম প্রচার করেন।
আরও অন্য খবর দেখুন