জয়পুর: রাজস্থানের আলওয়ার জেলার সারিস্কা টাইগার রিজার্ভের (Sariska Tiger Reserve) আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগাল ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF)। জঙ্গলের আগুন বিধ্বংসী রূপ নেওয়ার কারণেই বায়ুসেনার Mi-17 V5 হেলিকপ্টার আগুন নেভাতে জল স্প্রে করছে। সারিস্কা টাইগার রিজার্ভের আগুন ১০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার আশেপাশে বাঘ থাকতে পারে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বনাঞ্চল লাগোয়া গ্রামবাসীদের অন্য জায়গায় পাঠানো হয়েছে।
আগুন নেভাতে বায়ুসেনার দুটি হেলিকপ্টার আলওয়ারে পৌঁছেছে। শিলিসেধ হ্রদ থেকে জল নিয়ে তা সারিস্কা টাইগার রিজার্ভে ছড়ানো হচ্ছে। জিপিএসের সাহায্যে হেলিকপ্টারের চালকরা জঙ্গলে আগুন নেভানোর কাজ করছেন। অতিরিক্ত জেলাশাসক সুনীতা পঙ্কজ জানান, হেলিকপ্টারে জ্বালানির অভাব হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। জ্বালানি সরবরাহে যাতে বিঘ্ন না ঘটে, সেজন্য অন্য একটি হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে।
সোমবার ভোর ৫টার নাগাদ আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু ওইদিন প্রচণ্ড গতিতে হাওয়া বওয়ায় হঠাৎ করেই আগুনের তীব্রতা বেড়ে যায়। রাত পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সেই আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় বন দফতর জেলা প্রশাসন এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কাছে জল কামান, এরিয়াল হাইড্রোলিক প্ল্যাটফর্ম এবং হেলিকপ্টার চেয়েছিল। এর পরই বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর বায়ুসেনার সঙ্গে যোগাযোগ করে।
আরও পড়ুন: Susunia Hill Fire: বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহড়ে ভয়াবহ আগুন, ঘটনাস্থলে দমকল-বনবিভাগ
স্থানীয় প্রশাসনের এক আধিকারিক, অজ্ঞাত কারণে রবিবার টাইগার প্রজেক্ট সারিস্কার আকবরপুর রেঞ্জের বালেতা-পৃথ্বীপুরা নাকার আশপাশের এলাকায় শুকনো ঘাস ও গাছপালায় আগুন ধরে যায়। ফায়ার লাইন দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় বায়ুসেনার সাহায্য চাওয়া হয়।
At the behest of Alwar Dist admin to help control the spread of fire over large areas of #SariskaTigerReserve, @IAF_MCC has deployed two Mi 17 V5 heptrs to undertake #BambiBucket ops.
Fire Fighting Operations are underway since early morning today.#आपत्सुमित्रम pic.twitter.com/HhGEHsdYrS
— Indian Air Force (@IAF_MCC) March 29, 2022
বন দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, জঙ্গলে আগুন লাগার কারণে মৌচাকগুলি ভেঙে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আশপাশের এলাকায় চলে যাচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি। সে কারণে আগুন নেভানোর কাজে নিযুক্ত বনকর্মী ও গ্রামবাসীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।