নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যেতে পারেন কেবল ধনী ব্যক্তিরা এমন একটা ধারণা জনমানসে বদ্ধমূল হয়ে আছে। সেই ধারণা ভেঙে দরিদ্র মামলাকারীদের সাহায্যে তরুণ আইনজীবীদের এগিয়ে আসতে আহ্বান জানাল সুপ্রিম কোর্ট।
আর্থিক প্রতিদানের কথা না ভেবে আইনি পরিষেবা দেওয়ার গুরুত্বে জোর দান করল শীর্ষ আদালত। সার্বিক ও দ্রুত বাণিজ্যিকীকরণ ও প্রতিযোগিতার সময়ে দাঁড়িয়ে নিঃস্বার্থ আইনি পরিষেবা দেওয়ার মধ্যে যে অকৃত্রিম, বিরল আনন্দ আছে, সে কথা মনে করিয়ে দিলেন বিচারপতি বিভি নাগরত্ন (Justice BV Nagaratna) ও বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা (Justice Satish Chandra Sharma)।
দুই বিচারপতির অভিমত, আদালতকে সাহায্যের পাশাপাশি মামলাকারীকেও সাহায্য করা আইনজীবীর কর্তব্য, বিশেষত যে মামলাকারীদের সামর্থ্য কম। আদালত তথা সুপ্রিম কোর্ট থেকে আবেদনকারী যে সুবিচার পেলেন, এই অনুভব তার মধ্যে সঞ্চালনের দায়িত্বও আইনজীবীর।
আরও পড়ুন: অবৈধ অধিবাসীদের দেশে ফেরাব, বিরাট ঘোষণা মোদির
একটি সংস্থার বিরুদ্ধে আবেদনে মামলাকারী নিজেই সওয়ালের চেষ্টা শুরু করেন। কিন্তু ইংরেজিতে বক্তব্য পেশ করতে তাঁর সমস্যা হচ্ছে দেখে আদালত আইনজীবী সঞ্চার আনন্দকে (Advocate Sanchar Anand) আদালত বান্ধব হিসেবে নিয়োগ করে। প্রায় দুই বছর ধরে চলা সেই মামলায় আইনজীবী আনন্দ ১৪টির বেশি শুনানিতে অংশ নেন। সেই সূত্রে দুই পক্ষের মধ্যে চলা বিবাদের যথাযথ নিষ্পত্তি হয়। কিন্তু এর জন্য তিনি কোনও আর্থিক প্রতিদান নেননি।
এই প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে আদালত জানিয়েছে, ওই আইনজীবী নিঃস্বার্থভাবে বিষয়টির সমাধানে পৌঁছতে যথাযথ ও উপযুক্ত সহায়তা করেছেন। এই ভূমিকা আইনি পেশায় উজ্জ্বল উদাহরণ। বিশেষত তরুণ আইনজীবী মহলের কাছে। মামলা সূত্রে আবেদনকারীর পাওনা কুড়ি লক্ষ টাকা সংস্থাটিকে মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।। সেই সঙ্গে আইনজীবী আনন্দকে এক লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য সেই কোম্পানিকেই অনুরোধ আদালতের।
দেখুন অন্য খবর: