ওয়েবডেস্ক: কোনও বিল আটকে রেখে রাষ্ট্রপতির (President) কাছে পাঠাতে হবে সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে। আটকে রাখা বিল (Bill ) বিধানসভায় (Assemble) নতুন করে তৈরি হবার পর এক মাসের মধ্যে রাজ্যপালকে (Governor R.N. Ravi) অনুমোদন দিতে হবে।
উল্লেখ্য, বারোটি বিলে অনুমোদন না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল ডঃ আর এন রবির বিরুদ্ধে। ১০ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষ হয়।
এই মামলায় সুপ্রিম রোষের মুখে পড়লেন তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজ্যপাল। তার পরেই মামলার শুনানিতে এই রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। রাজ্যপালের এই কাজকে ‘অবৈধ’ ও ‘স্বেচ্ছাচারী’ পদক্ষেপ বলে চূড়ান্ত ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)।
আরও পড়ুন: ২০ হাজার শিক্ষার্থীর একযোগে সূর্য নমস্কার, নাম উঠল গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে
জানা গেছে, রাজ্যপালের সাক্ষর না করা সংক্রান্ত বিলের মধ্যে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত বিলও। রাজ্যপালের এই কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে,শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হন এম কে স্টালিন নেতৃত্বাধীন তামিলনাড়ু সরকার।
মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা ও বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, পাশ হয়ে যাওয়া বিল এভাবে ফেলে রাখতে পারেন না রাজ্যপাল। সংবিধানের ২০০ অনুচ্ছেদের কথা স্মরণ করিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ‘রাজ্যপাল মন্ত্রিসভার সহায়তা ও পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে বাধ্য। রাজ্যপালকে সরকারের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ বজায় থাকবে। সেটাই হবে পারস্পরিক সহযোগিতা। কাজ হবে যা পথ প্রদর্শক মতো। রাজনৈতিক মতাদর্শকে দূরে সরিয়ে রেখে সাংবিধানিক শপথের কথা মনে রেখে কাজ করতে হবে। বাধা দেওয়া নয়, রাজ্যপাল হবেন রাজ্য সরকারের অনুঘটক।’
আদালতের অভিমত, বিধানসভায় পাশ ও পুনর্বিবেচনার পর বিলগুলি যখন রাজ্যপালের কাছে আসে সেখানে সাক্ষর না করে ১০টি বিল রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য আটকে রাখা শুধু অবৈধ নয় স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ।
দেখুন অন্য খবর: