নয়াদিল্লি: লখিমপুর খেরির ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিস৷ সোমবার আরও একবার এই মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত রীতিমত তিরস্কার করে যোগী পুলিসকে৷ বিচারপতি সূর্যকান্তের পর্যবেক্ষণ, এটা বলতে খারাপ লাগছে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, শুধুমাত্র একজন অভিযুক্তকে সুবিধা দিতে দুটো এফআইআর জুড়ে দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু দুটি অভিযোগই আলাদা করে তদন্তের প্রয়োজন৷ রাজ্য পুলিশের তদন্তে খুব একটা আস্থা নেই শীর্ষ আদালতের৷ তাই তদন্তে তদারকির জন্য উত্তরপ্রদেশ ছাড়া অন্য কোনও রাজ্যের হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতিকে নিয়োগ করার কথা এদিন বলেছে সুপ্রিম কোর্ট৷
আরও পড়ুন: শাহকে শুক্তো-আলু পোস্ত খাইয়েও মেলেনি মেয়ের চিকিৎসায় সাহায্য, অপেক্ষায় বাঁকুড়ার বিভীষণ হাঁসদা
বিচারপতি সূর্যকান্তের সঙ্গে একমত প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার৷ তিনি বলেন, ‘আমরা যেটা প্রত্যাশা করেছিলাম তদন্ত মোটেই সেদিকে এগোয়নি৷ আমরা ১০ দিন সময় দিয়েছিলাম৷ কিন্তু এখনও ল্যাব রিপোর্ট হাতে পাইনি৷ কয়েকজন সাক্ষীর বয়ান নথিভুক্তের উল্লেখ ছাড়া স্টেটাস রিপোর্টে নতুন কিছু বলা হয়নি৷’ এর আগের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট যোগী সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল, লখিমপুরের ঘটনায় কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং কী কী ধারা দেওয়া হয়েছে সেটা জানিয়ে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে৷ কিন্তু প্রশাসনের তরফে যে স্টেটাস রিপোর্ট জমা পড়েছে তাতে যে আদালত সন্তুষ্ট হয়নি তা প্রধান বিচারপতির বক্তব্যে পরিষ্কার৷
আরও পড়ুন: রাফাল চুক্তিতে ৬৫ কোটির ঘুষ, চোখ বুজে ইডি-সিবিআই, দাবি ফরাসি সংবাদমাধ্যমের
গত ৩ অক্টোবর লখিমপুর খেরিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের গাড়ির ধাক্কায় আট জনের মৃত্যু হয়েছে৷ মৃতদের মধ্যে বিজেপি কর্মীরা আছেন৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, সাংবাদিক-সহ চারজনের মৃত্যু নিয়ে পৃথক এফআইআর করতে হবে৷ কিন্তু পুলিশ দুটি এফআইআরকে জুড়ে দেয়৷ তার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, দুটি এফআইআর আলাদা করে তদন্ত করতে হবে৷ তখন উত্তরপ্রদেশ সরকারের আইনজীবী হরিশ সালভে বলেন, অনেক সময় সাক্ষীকে ডাকা হলে সে দ্বিতীয় এফআইআরের ঘটনা নিয়ে বলতে থাকত৷ সাংবাদিক রমন কাশ্যপের মৃত্যু নিয়ে বিভ্রান্তি থেকেই এফআইআর দুটো জুড়ে দেওয়া হয়েছে৷ এর পরই বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, দুটো এফআইআর আলাদা করে তদন্ত করতে হবে৷ তদন্তে প্রতিদিনের তদারকির জন্য আমরা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতিকে নিয়োগ করার পক্ষে৷ তবে আমরা উত্তরপ্রদেশের কোনও বিচারপতিকে চাই না৷