কলকাতাঃ নীতি আয়োগের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাইক বন্ধের অভিযোগ উড়িয়ে দিল বিজেপি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন শনিবার বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মাইক বন্ধ করা হয়নি। তাঁর কাছে আমার অনুরোধ, দয়া করে সত্যিটা বলুন। উনি তাঁর বক্তব্য শেষ করতেই পারতেন। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো বিবৃতি দিয়ে বলেছে, মুখ্যমন্ত্রীর মাইক বন্ধ করা হয়নি। তাঁর যে বলার সময় শেষ হয়ে গিয়েছে, তা ঘড়িতে দেখানো হয়।
এদিকে কলকাতায় বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই নাটক পূর্বপরিকল্পিত। তিনি আগে থেকেই একটা অছিলা খুঁজছিলেন, যাতে বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসা যায়। পাঁচ মিনিট তো অনেক সময়। তিনি ওই সময়ের মধ্যে আরও অনেক কথা বলতে পারতেন। রাহুল বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যা করলেন, তাতে বাংলার ভালো হল না। তিনি রাজ্যের দাবিদাওয়ার কথা বলতেই পারতেন।
আরও পড়ুন: এখনও বন্ধ মৈত্রী এক্সপ্রেস, কবে চালু হবে জল্পনা
কেন্দ্রীয় বাজেটে অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির প্রতি বঞ্চনার প্রতিবাদে ইন্ডিয়া জোটের সাত মুখ্যমন্ত্রী নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করেন। কংগ্রেসের তিন মুখ্যমন্ত্রী, কেরলের সিপিএম মুখ্যমন্ত্রী, পঞ্জাবের আম আদমি পার্টির মুখ্যমন্ত্রী, তামিলনাড়ুর ডিএমকে মুখ্যমন্ত্রী এবং ঝাড়খণ্ডের জেএমএম মুখ্যমন্ত্রী ওই বৈঠক বয়কট করার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন। মমতা কী করবেন, তা শুক্রবার পর্যন্ত ঠিক ছিল না। পরে অবশ্য তিনি বৈঠকে থাকবেন বলে জানান। বিরোধী জোটের পক্ষে কেবল তিনিই শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেন। শুক্রবার দিল্লি পৌঁছে তিনি ইন্ডিয়া জোটে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে বলে অনুযোগ করেন। মমতা বলেন, আগে সকলকে জানিয়ে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিলে ভালো হত। যাই হোক, আমি শনিবার যাচ্ছি সকলের হয়ে কথা বলতে। রাজ্যগুলির প্রতি বঞ্চনার দাবিতে আমার বক্তব্য রেকর্ড করার চেষ্টা করব। না দিলে বৈঠক ছেড়ে চলে আসব।
মমতার অভিযোগ, তাঁকে মাত্র পাঁচ মিনিট বলতে দেওয়া হয়। তারপরই তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এটা বিরোধীদের অপমানের শামিল। তাই প্রধানমন্ত্রীকে বলে এসেছি, রাজ্যগুলির প্রতি আপনি এভাবে বৈষম্য করতে পারেন না। এই বঞ্চনা আমি মানি না। তাই চললাম।