ওয়েব ডেস্ক: ২২ এপ্রিল পেহেলগামে জঙ্গি হামলা! আর সেই হামলায় প্রাণ যায় ২৬ জন ভারতীয়র। তারপরের দিনই বিহারের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ বলে দেন ‘ জঙ্গিদের কোমড় ভেঙে দেওয়া হবে ‘। আর ঠিক তার পনেরো দিনের মাথায় পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হানা ভারতীয় সেনার। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় সবকটি জঙ্গি ঘাঁটি। তারপরের দিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, ১০০ জনের বেশি জঙ্গিকে মারা হয়েছে। আর এই মিশনের নাম দেওয়া হয় ‘ মিশন সিঁদুর ‘। ভারতের পক্ষ থেকে সাফ জানানো হয়, ‘ প্রিসিশন আট্যাক ‘ করা হয়।
কিন্তু তারপরেই বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তানের তরফ থেকে ভারতের ৩৬ টি সীমান্তবর্তী রাজ্যে ড্রোন হামলা চালানো হয়। ৪০০ থেকে ৫০০ ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। যদিও ভারত তা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। ৫০ টিরও বেশি ড্রোন ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু জম্মু কাশ্মীর থেকে শুরু করে পাঞ্জাব, জয়সেলমিরে জারি করা হয় ব্ল্যাক আউট। বারবার পাকিস্তান জনবসতি লক্ষ্য করেই এই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করা হয়। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার ফের রাতের আঁধার নামতে নামতেই পাকিস্তান শুরু করে ড্রোন হামলা। অমৃতসর, পাঞ্জাব, কচ্ছতে শুরু হয় হামলা। এমনকি পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে পাক ড্রোন হামলায় আহত হন একই পরিবারের বেশ কয়েকজন। তাদের ইতিমধ্যেই ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। অর্থাৎ পাকিস্তান বারংবার জনবসতি লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। বিধ্বংসী অবস্থা শ্রীনগর শহরের। সেখানকার এয়ারপোর্ট ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
আর এই আবহে এবার ৯ মে থেকে ১৪ মে, ২০২৫ পর্যন্ত উত্তর ও পশ্চিম ভারতের ৩২টি বিমানবন্দরে বেসামরিক বিমান চলাচল স্থগিত রাখার নির্দেশিকা জারি করা হল। এছাড়াও, দিল্লি এবং মুম্বাই ফ্লাইট ইনফরমেশন রিজিয়নের বিমান রুটগুলি ১৫ মে সকাল ৫:২৯ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
তালিকায় কোন কোন বিমানবন্দর রয়েছে? দেখে নিন একনজরে
১। আধামপুর
২। আম্বালা
৩। অমৃতসর
৪। আওয়ান্তিপুর
৫। ভাটিন্দা
৬। ভুজ
৭। বিকানের
৮। চন্ডিগড়
৯। হালওয়ারা
১০। হিন্দন
১১। জাইসালমের
১২। জম্মু
১৩। জামনগর
১৪। যোধপুর
১৫। কান্ডলা
১৬। কাঙ্গরা
১৭। কেশোধ
১৮। কিশন গড়
১৯। কুল্লু মানালি
২০। লেহ
২১। লুধিয়ানা
২২। মুন্দ্ররা
২৩। নালিয়া
২৪। পাঠানকোট
২৫। পাটিয়ালা
২৬। পর বান্দার
২৭। রাজকোট
২৮। সারসাওয়া
২৯। শিমলা
৩০। শ্রীনগর
৩১। থৈসে
৩২। উত্তরলাই