কলকাতা:বিহারের জেহানাবাদে মন্দিরে পদপিষ্ট (Bihar Jehanabad Stampede) হয়ে মৃত্যু হল ৮ পুণ্যার্থীর। ঘটনায় আহত বহু পুণ্যার্থী। শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার উপলক্ষ্যে রাত থেকেই পুণ্যার্থীদের ভিড় জমে জেহানাবাদের সিদ্ধেশ্বরনাথ মন্দিরে ( Bihar Jehanabad Siddheswarnath Temple)। জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যেই অধিকাংশ মহিলা। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জেহানাবাদের স্টেশন ইনচার্জ দিবাকর কুমার বিশ্বকর্মা। পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, ভানাভার পাহাড়ে বাবা সিদ্ধিনাথের মন্দিরে জলাভিষেকের রবিবার রাতেই জড়ো হন শিব ভক্তরা। আজ শ্রাবণ মাসের চতুর্থ ও শেষ সোমবার। এই আবহে মহাদেবের মাথায় জলা ঢালতে গতরাত থেকেই মন্দিরে ভির জমিয়েছিলেন পুণ্যার্থীরা। রাত ১২টা নাগাদ ভিড়ের চাপ ব্যাপক আকার নেই। ভিড়ের মধ্যেই ভক্তদের মধ্যে আচমকাই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পুলিশ বিশৃঙ্খলা থামাতে লাঠিচার্জ করায় ছোটাছুটিতে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। প্রচণ্ড ভিড়ে হুড়োহুড়িতে ভক্তদের পায়ের চাপে পিষে মৃত্যু হয় ৮ জনের। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন ভক্ত। সংবাদসংস্থা পিটিআই দাবি করেছে, আহতের সংখ্যা প্রায় ৫০। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জেহানাবাদের স্টেশন ইনচার্জ দিবাকর কুমার বিশ্বকর্মা। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আরজি করের নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী
এই দুর্ঘটনার জন্য কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন ভক্তরা। তাঁদের অভিযোগ, এখানে ভিড় নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিল এনসিসি সদস্যরা। ভিড় সামালাতে ভক্তদের উপর লাঠিচার্জ করে তাঁরা। যার জেরেই মন্দির চত্বরে হুড়হুড়ি পড়ে যায়। যার পরিণতি এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। যদিও পুলিশ লাঠিচার্জের অভিযোগ মানতে নারাজ।
অন্য খবর দেখুন