সন্দেশখালি: আবারও সন্দেশখালি নিয়ে নতুন মামলা হল। বৃহস্পতিবার ওই মামলা দায়ের করেন অনিন্দ্য সুন্দর দাস নামে এক আইনজীবী। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিভগননম জানান, সোমবার সব মামলা তালিকাভুক্ত করে শোনা হবে।
এদিকে এদিনও সন্দেশখালিতে ছিল ঘটনার ঘনঘটা। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ফিরতেই সন্দেশখালির ঝুপখালিতে শাহজাহানের ভাই শেখ সিরাজুদ্দিনের একটি আলাঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। কে বা কারা আগুন দিল, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। গ্রামের লোকজন বলছেন, শাহজাহানের অনুগামীরাই আগুন লাগিয়ে সাধারণ মানুষের উপর দোষ চাপাচ্ছে। আবার তৃণমূলের দাবি, গ্রামের মানুষই উত্তেজনা জিইয়ে রাখতে ওই আলাঘরে আগুন দিয়েছে। এদিন স্থানীয় লোকজন ঝাঁটা হাতে সিরাজুদ্দিনের লোকজনকে তাড়া করেন। তাঁদের অভিযোগ, শাহজাহানের মতো তাঁর ভাইও অত্যাচার, জোর করে জমি দখল করতে ওস্তাদ। গ্রামবাসী এদিনও শাহজাহানের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। পাশাপাশি শাহাজাহানের গ্রেফতারের প্রতিবাদে সন্দেশখালি থানার বাইরে বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন সুকান্ত মজুমদার।
আরও পড়ুন: বারাসতে ৬ই মোদি, ১০ই সন্দেশখালিতে অভিষেক
বৃহস্পতিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সন্দেশখালি যাওয়ার মুখে ধামাখালিতে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। পুলিশ জানায়, এত লোক নিয়ে যাওয়া যাবে না। পরে অবশ্য সুকান্ত সন্দেশখালিতে যান। এর আগে তিনি বসিরহাট সংশোধনাগারে বন্দি বিজেপি নেতা বিকাশ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে যান। সুকান্ত বিকাশের বাড়িতেও যান। এখনও বিজেপির ১১ জন কার্যকর্তা জেলে রয়েছেন বলে সুকান্ত জানান।
জাতীয় আদিবাসী কমিশনের এক প্রতিনিধিদল এদিন সন্দেশখালির বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন করে। মহিলারা ওই প্রতিনিধিদের কাছে অত্যাচারের বিবরণ তুলে ধরেন। গত কয়েক দিনে সন্দেশখালি ঘুরে গিয়েছে জাতীয় এসসি এসটি কমিশন, জাতীয় মহিলা কমিশন, রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। জাতীয় এসসি এসটি কমিশন এবং মহিলা কমিশন সন্দেশখালির ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছে। এরই মধ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বুধবার রাজ্য সরকারের কাছে সন্দেশখালি নিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট চেয়েছে।
দেখুন আরও অন্যান্য: