Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeScrollনাবি ধসার প্রকোপ বাড়ায় দুঃশ্চিন্তায় কৃষকরা
Potato Farmers

নাবি ধসার প্রকোপ বাড়ায় দুঃশ্চিন্তায় কৃষকরা

কৃষি ঋণ মুকুবের দাবি চাষিদের

Follow Us :

চন্দ্রকোনা: মাঠ থেকে আলু তোলার এখনও বাকি। তার আগেই উধাও শীত। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় আলুর জমিতে নাবি ধসার প্রকোপ বাড়ায় দুঃশ্চিন্তায় কৃষকরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা (Chandrakona Paschim Medinipur) ২ নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়েই আলুর জমিতে (Potato Land) নাবি ধসা লেগেছে। স্বাভাবিকভাবেই দিশেহারা আলুচাষিরা (Potato Farmers)। কৃষকদের বক্তব্য, চাষের শুরুতে দুর্যোগের জেরে বৃষ্টির জন্য দুবার জমিতে আলু লাগাতে হয়েছে এ বছর। ফলে আলু চাষ সময়ের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে। আলু চাষের মাঝপথে আবার আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বিপাকে পড়তে হয় কৃষকদের। দেরিতে চাষ শুরু হওয়ায় এখনও মাঠে আলু রয়ে গিয়েছে। সেই সব আলু জমি থেকে তুলতে প্রায় এক মাস লেগে যাবে। চাষিদের কথায়, দেরিতে চাষ হওয়ায় ফলন হয়ে ফসল তুলতেও দেরি হচ্ছে। তার মধ্যেই নাবি ধসা নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে কৃষকদের মধ্যে।

অকাল বর্ষণে চাষের ক্ষতি। মাঠের সফল এখনও মাঠেই পড়ে রয়েছে, তোলা হয়নি ঘরে। আলু জমিতে নাবি ধোসার প্রকোপ বাড়ায় দুঃশ্চিন্তায় কৃষকরা। কৃষকদের সতর্কবার্তা কৃষি আধিকারিকের। আলু চাষের মাঝ পথে আবার আবহাওয়ার খামখেয়ালীপনায় বিপাকে পড়তে হয় কৃষকদের। দেরিতে চাষ শুরু হওয়ায় এখনও মাঠে আলুর ফলন বাকি,এখনও প্রায় একমাস লাগবে আলুর সম্পূর্ণ ফলন হয়ে জমি থেকে আলু তুলতে। চাষিদের কথায়,দেরিতে চাষ হওয়ায় ফলন হয়ে ফসল তুলতেও দেরি হচ্ছে। মাঠে আলু থাকলেও উধাও শীত। তার জেরেই আদ্রতার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। আলু চাষের পক্ষে শীত উপযোগী,শীত না থাকলে রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ার আশঙ্কা থাকে।আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে আলু চাষিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

আরও পড়ুন: ধূপগুড়িতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা ও তাঁর ছেলের আধার বাতিলের নোটিস

আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-৮)

চাষিরা জানাচ্ছেন,আবহাওয়ার খামখেয়ালীপণায় আলু জমিতে নাবি ধোসার প্রকোপ বেড়েছে ব্যাপক হারে,যার জেরে চাষের শেষ সময়ে ঘোর দুঃশ্চিন্তায় কৃষকরা। চন্দ্রকোনার আলু চাষিদের (Potato Farmers) দাবি,ওষুধের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটাই, বাজারে চাহিদা প্রচুর সমস্ত ওষুধের,সঠিক সময়ে তা পাওয়ায় যাচ্ছে না। যে ওষুধ ৯৫০ টাকা দাম ছিল বর্তমানে ১১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলেও দাবি কৃষকদের। কৃষকরা আলু গাছ বাঁচাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন ঋণ নিয়ে দামি কীটনাশক কিনছেন। কৃষকদের আরও দাবি, ৫০ দিনের গাছ এখনই নাবি ধোসার ফলে গাছ নষ্ট হয়ে গেলে ফলন স্বাভাবিকভাবেই কম হবে, খরচা উঠবে না। কৃষকদের আশঙ্কা এবছর চাষে লোকসান হবে। কৃষকের সারা বছর চলবে কিভাবে? মহাজন বা সরকারের থেকে কৃষি ঋণ নিয়ে চাষ,তার টাকাই বা কি করে মেটাবে? নাবি ধসার জেরে এমনই সব দুঃশ্চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে কৃষকদের মাথায়।

কৃষকদের দাবি, কৃষি দফতর এই বিষয়ে যেন নজর দেয়। কৃষকরা দাবি করেছেন, কৃষি ঋণ মুকুবের।আলু জমিতে নাবি ধসার প্রকোপের বিষয়টি স্বীকার করেছেন কৃষি দফতর। চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের সহ কৃষি আধিকারিক শ্যামদুলাল মাসান্ত কৃষকদের সতর্ক করে বলেন,মেঘলা কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া সঙ্গে আদ্রতা বাড়ায় নাবি ধসার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনাকেই দায়ি করছেন তিনি। এনিয়ে চাষিদের কী করণীয় তাও পরামর্শ দেন তিনি। পাশাপাশি নাবি ধসার জেরে কীটনাশক প্রয়োগের চাহিদা অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় চাষিদের দাবি, কীটনাশকের দাম দ্বিগুণ দিয়ে কিনতে হচ্ছে।এবিষয়ে ব্লকের সহ কৃষি আধিকারিক জানান,নির্ধারিত দামের বাইরে গিয়ে কৃষকদের থেকে অতিরিক্ত দাম নিলে তার খবর আসলে আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”

অন্য খবর দেখুন

RELATED ARTICLES

Most Popular