কলকাতা: নন্দীগ্রামে দলের মহিলা কর্মী খুনের ঘটনায় পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারের (Superintendent of Police of East Medinipur) অপসারণের দাবি জানিয়ে বিজেপি চিঠি দিল নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission)। বুধবার গভীর রাতে নন্দীগ্রামে সোনাচূড়ায় বিজেপি সমর্থক খুন হন দুষ্কৃতীদের হাতে। ওই হামলায় নিহতের ছেলে-সহ জনা সাতেক বিজেপি সমর্থক জখম হন। নিহত মহিলার নাম রথীবালা আড়ি। দলীয় কর্মী খুনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে চিঠিতে বিজেপির অভিযোগ, রাজ্য পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ। বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপুরে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ বাড়ছে, তফসিলি জাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির বিজেপি সমর্থক মহিলাদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। রাজ্যে শাসকদলের মদতপুষ্ট গুন্ডাবাহিনীর পিছনে পুলিশ প্রশাসনের সক্রিয় সমর্থন রয়েছে। এই অবস্থায় বিজেপি অবিলম্বে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারের বদলির দাবি জানিয়েছে।
বুধবার গভীর রাতে বিজেপি সমর্থক রথীবালা আড়ি খুন হন দুষ্কৃতীদের হামলায়। মাকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন ছেলে-সহ আরও সাতজন বিজোপি সমর্থক। এই ঘটনার পরই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে নন্দীগ্রাম। একাধিক দোকান-বাড়িতে ভাঙচুর, আগুন লাগানো হয়েছে। রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ চলে।
আরও পড়ুন: থানায় বসে আইসিকে দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
বিজেপির অভিযোগ, প্রায় ৫০টি মোটরবাইকে চেপে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী সোনাচুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে মনসা বাজারে ভারতীয় জনতা পার্টির সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলার সময় বাড়ির নারীদের শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। কমিশনের কাছে বিজেপির আরও অভিযোগ, এই খুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানিসূলক বক্তব্যের প্রত্যক্ষ ফল। তিনি গত ১৬ মে হলদিয়াতে একটি সমাবেশে নন্দীগ্রামে তাঁর হারের বদলা নেবেন বলে হুমকি দিয়েছিলেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে হেরে যান মমতা। সেই পরাজয়ের জন্য নন্দীগ্রামের জনগণের উপর প্রতিশোধ নিচ্ছে তৃণমূল। পুলিশ প্রশাসন বিজেপির নেতা কর্মীদের হেনস্থা করতে তাদের বাড়িতে, অফিস ক্রমাগত অভিযান চালাচ্ছে।
অন্য খবর দেখুন