কলকাতা: পূর্ব মেদিনীপুর (East Medinipur) নিয়ে বিশেষ নজর নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India)। গত বিধানসভা নির্বাচনে হয়ে যাওয়া বিক্ষিপ্ত ঘটনা। সেই সঙ্গে নন্দীগ্রামে (Nandigram) বৃহস্পতিবার ঘটে যাওয়া হিংসার ঘটনা। সব বিষয়কে সামনে রেখেই বিশেষ নজর নির্বাচন কমিশনের। এদিনের ঘটনা কমিশনকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে। ষষ্ঠ দফায় পূর্ব মেদিনীপুরে ২৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকতে চলেছে। তার সাথে কিউআরটি ২৩২। দুই ক্ষেত্রেই বাহিনী ষষ্ঠ দফায় অন্যান্য লোকসভা আসনে মোতায়েন করা বাহিনীর থেকে বেশি।
ইতিমধ্যে নন্দীগ্রামে বিজেপির মহিলা কর্মীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জেলা প্রশাসনকে অবিলম্বে ঘটনার রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। ষষ্ঠ দফায় আগামী ২৫ মে তমলুকে ভোটগ্রহণ। তার আগে খুনের ঘটনায় নন্দীগ্রামের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিজেপি মহিলা কর্মী খুনের ঘটনায় অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চাইল কমিশন।প্রসঙ্গত বুধবার রাতে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রাতে এলাকায় হামলা চালায়। জখম হন বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মী।
আরও পড়ুন: থানায় বসে আইসিকে দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
বিজেপি নেতার মায়ের খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার দিনভর উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, ভাইপোর উস্কানিতেই খুন করা হয়েছে রথিবালা আড়ি নামে বিজেপির মহিলা কর্মীকে। তিনি বলেন, আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব। নন্দীগ্রামের উত্তপ্ত আবহাওয়ার মধ্যেই এদিন কেশপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা তন্ময় ঘোষকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তন্ময় দলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক।
আরও খবর দেখুন