নয়াদিল্লি: ভারতের খেলা শুরু? মায়ানমারের (Myanmar) সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াইতে কৌশলগত পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মংডুতে শেষ সেনা ফাঁড়িটি দখল আরাকান আর্মির (Arakan Army)। সেখানে বাংলাদেশের সঙ্গে ২৭১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিল আরাকান আর্মি। রাখাইন মায়ানমারের দেশব্যাপী গৃহযুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দু। গণতন্ত্রপন্থী সংখ্যালঘু সশস্ত্র বাহিনী স্বায়ত্তশাসনের জন্য দেশটির সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। ২০২১ সালে সেনাবাহিনী আংসান সুচি’র নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। জানা গিয়েছে, তারপর থেকে এই যুদ্ধ আরাকান আর্মিরও।
বাংলাদেশ সীমান্তে এই এলাকা মায়ানমারের জুন্টা বাহিনীর দখলে থাকলেও তা ছিনিয়ে নিল আরাকান আর্মি। আরাকান আর্মি দাবি করেছে মণ্ডু শহরের এলাকার নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে। গত ৮ ডিসেম্বর আরাকান আর্মি এই সীমান্ত এলাকা দখল করেছে বলে দাবি। এই আরাকান আর্মি বৌদ্ধদের একটি সামরিক সংগঠন। এই ঘটনায় সতর্ক হয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এদিকে আরাকান আর্মি ওই জায়গা দখল করায় নতুন করে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না বাংলাদেশ প্রশাসন। রোহিঙ্গাদের যদি সেই এলাকা থেকে উৎখাত করতে চায় আরাকান আর্মি? তাহলে তাঁরা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে চাইবেন। এই সমস্যা মেটাতে কি ভারতকে প্রয়োজন হবে বাংলাদেশের? কূটনৈতিক মহল সূত্রে খবর, সম্প্রতি ভারত রাখাইন প্রদেশে নির্দিষ্ট প্রকল্পের পুনরুজ্জীবনে আরাকান আর্মির সঙ্গে নানাভাবে আলোচনা করেছে। ভারত যদি রাখাইন প্রদেশে শান্তির বার্তা দিতে পারে তাহলে ভারত কূটনৈতিক দিক থেকে কয়েক কদম এগিয়ে যাবে। এই রাখাইন প্রদেশে নজর রয়েছে চীনেরও। ফলে এক ঢিলে ভারত দুই পাখি মারতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ভারতবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। অভিযোগের তির, পদ্মাপাড়ের দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুসের নিষ্ক্রিয়তার দিকেও।
আরও পড়ুন: আজও হল না চিন্ময় কৃষ্ণদাসের জামিন! কেন এই টালবাহানা?
দেখুন অন্য খবর: