কলকাতা: শহরে ভারি ও মাঝারি গাড়ি চলাচলের নিষেধাজ্ঞা বহাল হাইকোর্টে (Culcatta High court)। বন্দর এলাকা বাদে শহরের সর্বত্র সকাল ছয়টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা যুক্তিপূর্ণ। অভিমত আদালতের। জরুরী ও পচনশীল পণ্যবাহী গাড়ি নিষেধাজ্ঞার (Forbids Heavy Freight Car) আওতার বাইরে। যেমন এলপিজি, পেট্রোলিয়াম, অক্সিজেন, দুধ, ফল, সবজি ইত্যাদি। রাত দশটা থেকে সকাল আটটা এবং বেলা বারোটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত এইসব পণ্য বহন করা যায়। প্রখ্যাত এক রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার নির্দেশিকার বৈধতা ও যৌক্তিকতা চ্যালেঞ্জ করে।
নির্দেশিকা মোটেই অসামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। নির্দেশিকার শর্তগুলি যথাযথ এবং প্রয়োজনীয়। বিশেষত ট্রাফিক চলাচল ব্যবস্থা গতিশীল রাখার স্বার্থে। অফিস আওয়ার্সে রাস্তায় ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। সেই সঙ্গে নাগরিকদের নিরাপত্তাও বজায় রাখা দরকার। ব্যস্ত সময় শহরে ভারি গাড়ির চলাচল বাঞ্ছনীয় নয়। জরুরী এবং পচনশীল পণ্যকে বাদ দিয়ে। যেমনটা নিষেধাজ্ঞায় বলা আছে। নিষেধাজ্ঞগুলি আদৌ রিয়েল এস্টেট ব্যবসার পরিপন্থী নয়। অভিমত বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের।
আরও পড়ুন: ৩২ দিন ধরে অধরা, আজও ইডি দফতরে গরহাজির শাহজাহান
এই ব্যবসায় ট্রানজিট কংক্রিট মিক্সচার ব্যবহৃত হয়। ভারী গাড়িতে যা ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট থেকে গাড়িতে নির্মাণস্থলে নিয়ে যেতে হয়। এই মিক্সচারের আয়ু দু’ঘণ্টা। আবার এটি সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয়ের মধ্যে ব্যবহার করা যায় না। কেবলমাত্র দিনের বেলায় ব্যবহার করতে হয়। অথচ দিনের বেলায় এটি গাড়িতে নিয়ে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অন্যদিকে রাতে প্লান্ট চালানোতেও নানারকম বিধিনিষেধ রয়েছে। ফলে এমন মিক্সচার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কার্যত সার্বিক বাধার সৃষ্টি করা হয়েছে। অভিযোগ মামলাকারীর। এমন মিক্সচার ব্যবহার করা মোটেই বাধ্যতামূলক নয়। অন্য পদ্ধতিতেও ওই কাজ করা যায়। কিন্তু ওই মিক্সচার ব্যবহার করলে লাভের পরিমাণ বাড়ে।
অন্য খবর দেখুন