কলকাতা: প্রয়াত হলেন চিত্র তারকার মুনমুন সেনের (MunMun Sen) স্বামী ভরত দেব বর্মা (Bharat deb Barma) । পিতৃহারা হলেন রিয়া ও রাইমা। মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর সকাল ৯ টা নাগাদ জীবনাবসান হয় তাঁর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়ার একটি হাসপাতালে অভিনেত্রীর স্বামীকে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় করা হচ্ছিল, কিন্তু তার আগেই সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভরত দেব বর্মা। শোকের ছায়া মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের বাড়িতে। স্বামীর শেষ সময়ে কাছে ছিলেন না স্ত্রী মুনমুন ও তাঁদের দুই কন্যা রাইমা ও রিয়া। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়েই তড়িঘড়ি দিল্লিতে ফেরেন তাঁরা।
রাজপরিবারে বড় হয়ে ওঠা ভরত দেব বর্মার। আভিজাত্যের মধ্যেই শৈশব শুরু। ত্রিপুরার রাজ পরিবারের ছেলে ছিলেন তিনি। কোচবিহারের রাজকুমারী ছিলেন ভরত দেব বর্মার মা ইলা দেবী। ভরত দেব বর্মার বড়দিদি হলেন গায়ত্রী দেবী। তিনি জয়পুরের মহারানি। ভদোদরার মহারাজার একমাত্র কন্যা ছিলেন ভরত দেব বর্মার ঠাকুমা ইন্দিরা দেবী। ত্রিপুরার সেই রাজ পরিবারের ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয় মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের কন্যা মুনমুনের।
তবে এই সময় শুটিংএর কারণে জয়পুরে রয়েছেন রাইমা। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন:মন্দারমণির ১৪০ টি হোটেল ভাঙার নির্দেশ প্রশাসনের
১৯৭৮ সালে সুচিত্রা সেন নিজে দাঁড়িয়ে বিয়ে দেন ভরত-মুনমুনের। স্বামীর অনুমতিতেই অভিনয়ে আসেন মুনমুন। মেয়ে-জামাইয়ের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতেন পারেননি সুচিত্রা। জানা যায়, এর জেরে নাকি তিনি এক বছর কথা বলেননি তাঁদের সঙ্গে। মুখ দেখেননি ভরত-মুনমুনের। পরে অবশ্য সেই মনোমালিন্য মিটে যায়। একটা সময় রাজনীতির ময়দানে দেখা গিয়েছিল মুনমুনকে। তবে রাজনীতিতে সেই ধরনের ভাবমূর্তি তৈরি করতে পারেননি তিনি। একসঙ্গে ৪৬ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি হল আজ।