কলকাতা: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর অঞ্চলের স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন। বিশেষত, গ্রামীণ এলাকাগুলোর জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবার মান বৃদ্ধি করা বর্তমানে সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য। এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি আধুনিক এবং উন্নত হাসপাতাল, যা জনগণের চিকিৎসা প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারে। কেশপুরের মানুষদের এই সমস্যার সমাধানে মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ প্রকাশিত চিঠির মাধ্যমে জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রী কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা ৩০ থেকে ৫০ তে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকার প্রায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয় করবে। এর মাধ্যমে, হাসপাতালের পরিকাঠামো এবং সেবার মানও ব্যাপকভাবে উন্নত হবে। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব)-কে জানিয়েছেন যে, নতুন ভবন তৈরি হবে, যেখানে আধুনিক অপারেশন থিয়েটার, লেবার রুম এবং ৫০টি শয্যা থাকবে। এছাড়া, সিজারিয়ান অপারেশনও এখানে সম্ভব হবে, যা আগের হাসপাতালটির জন্য ছিল না।
আরও পড়ুন: ফের আরজি করের মেডিক্যাল ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘‘জানলে খুশি হবে, আমাদের সরকার কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালকে ৩০ বেড থেকে ৫০ বেডে উন্নীতকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর জন্য আমাদের ব্যয় হবে ২৪ কোটি টাকা। মানুষকে আরও উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে আমরা এই পদক্ষেপ করলাম। সরকারের এই সদ্র্থক ভূমিকার কথা তুমি যথাযথ ভাবে এলাকার মানুষের নজরে আনবে, এই আশা রাখি।’’
স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কেশপুরের বর্তমান হাসপাতালের পুরনো ভবনগুলির অবস্থাও ছিল অত্যন্ত খারাপ, এবং ৩০টি শয্যা ছিল জনগণের চাহিদার তুলনায় কম। এই সমস্যাগুলির সমাধান করতে সাংসদ দেব এবং স্থানীয় বিধায়ক শিউলি সাহা একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। তাদের প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ মুখ্যমন্ত্রী এই পদক্ষেপটি গ্রহণ করেছেন।
এখন কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এতে একটি নতুন ‘ইমার্জেন্সি অপারেশন থিয়েটার’ এবং ‘লেবার রুম’-এর সাথে ৫০টি শয্যার ব্যবস্থা থাকবে। এই উদ্যোগটি কেবল মহিলাদের স্বাস্থ্যসেবা নয়, বরং গ্রামীণ অঞ্চলের অন্যান্য চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতির দিকে একটি বড় পদক্ষেপ।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কেশপুরে স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত হবে, এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জনগণ আরও উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা পাবে। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে জনগণের আশা পূর্ণ হবে এবং স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।