খড়দহ: বাড়িতে জল চাওয়ার নাম করে ক্লাস নাইনের ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির (Rahara Molestation) চেষ্টা। নাবালিকাকে নির্যাতনকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য রহড়া থানার অন্তর্গত বন্দিপুর গ্রামে। বাড়ির থেকে রাস্তায় বেরোলে ধেয়ে আসতো নোংরা কটূক্তি। এমনকি ওই যুবকরা রাস্তা নাবালিকাকে শ্লীতাহানীর চেষ্টা করেও প্রতিবাদ করায় নাবালিকার বাবাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ এলাকারই দুই যুবকের বিরুদ্ধে। আতঙ্কে স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে নবম শ্রেণীর ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে বন্দিপুর বিবেকানন্দ পল্লী অঞ্চলে,ঘটনায় অভিযোগ দায়ের রহড়া থানায় (Rahara Police Station)। ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছে ওই দুই অভিযুক্ত যুবক।
আরও পড়ুন: উধাও শীত, বাড়ছে তাপমাত্রা, এ সপ্তাহেই নামবে বৃষ্টি
সূত্রের খবর, নাবালিকার বাবা কাজে সকালে বেরিয়ে যান, আর বাড়ি ফেরেন অনেক রাতে। বাড়িতে একাই থাকে ওই নাবালিকা। নির্যাতিতা নাবালিকার অভিযোগ, প্রথমে জল চাওয়ার নাম করে ঘরে ঢোকার চেষ্টা করত তারা। তারপর হঠাৎ একদিন মদ্যপ অবস্থায় জল চাইতে আসে। জল দিতে নারাজ হওয়ায় শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা অভিযুক্তরা। এরপর থেকে ওই নাবালিকা বাড়ির বাইরে বের হলে যুবকদের নোংরা কটূক্তি শুনতে হত। এমনকি, নাবাবলিকার হাত ধরে টানার চেষ্টাও করে বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনাটি বাড়িতে তার বাবাকে জানালে, বাবা ওই যুবকদের ডেকে বোঝায়। তার মেয়ের সঙ্গে এই আচরণ না করার জন্যে নিষেধ করেন।
তবে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর থেকেই ফের শুরু হয় ওই যুবকদের অভব্য আচরণ।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-৪)
রবিবার অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে নাবালিকার হাত ধরে টানা হেঁচড়া করে। অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে ওই যুবকরা। শুধু তাই নয় রাস্তায় একা পেয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় নাবালিকার বাবাকে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হতেই তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। গোটা শরীর জুড়ে রয়েছে আঘাতের চিহ্ন,এই বিষয়ে অবশ্য অভিযোগ দায়ের হয়েছে রহড়া থানায়। তবে এখন ও কাটেনি আতঙ্ক।
অন্য খবর দেখুন