কুলতলি: প্রশাসনের নজর এড়িয়েই ম্যানগ্রোভ ধ্বংসের (Dstroying Mangroves) অভিযোগ উঠল। কুলতলিতে নদীর চরে (Kultali River Bank) নির্বিচারে ম্যানগ্রোভ ( Mangroves) কেটে মাছের ভেড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। বেশ কিছু দিন ধরেই নদীর পাড়ের ম্যানগ্রোভ কেটে মাছের ভেরি তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ঘটনা কুলতলির গোপালগঞ্জ পঞ্চায়েতের মধুসূদনপুর ও ১ নম্বর গরানকাঠি এলাকায়। সুন্দরবনকে বাঁচাতে ম্যানগ্রোভ রক্ষা ও নতুন করে ম্যানগ্রোভ রোপণের বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এবং প্রশাসনের উদ্যোগে সুন্দরবনের (Sundarbans) বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর পরিমাণে ম্যানগ্রোভ রোপণ করা হয়েছে। এর মধ্যেই ব্যাক্তিগত স্বার্থে বেআইনি ভাবে ম্যানগ্রোভ কাটার ও অভিযোগ উঠছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। কুলতলিতেই একাধিক জায়গায় এর আগে ম্যানগ্রোভ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। এবার সেই একই অভিযোগ উঠল মধুসূদনপুর এলাকায়।
খবর পেয়ে বন দফতরের পিয়ালি বিট অফিসের আধিকারিকেরা এলাকা পরিদর্শন করেন। বন দফতরের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বন বিভাগীয় আধিকারিক জানান, গরানকাঠির খবর পেয়ে পিয়ালি বিট অফিস থেকে বিট অফিসার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের নামে অভিযোগ করা হয়েছে। মধুসূদনপুরের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এই জিনিস বরদাস্ত করা হবে না। মধুসূদনপুর এলাকায় নৈপুকুরিয়া নদীর চরে প্রায় ৪০-৫০ বিঘা জমিতে ম্যানগ্রোভ কেটে মাছের ভেড়ি নির্মাণ করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: পর্ষদের কড়া নজরদারিতে শেষ হল প্রথমদিনের মাধ্যমিক
অতীতেও ম্যানগ্রোভ কাটা নিয়ে থানায় অভিযোগ হয়েছিল। তবে তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এবার আদৌ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা সেই প্রশ্ন উঠছে। স্থানীয় প্রশাসন অবশ্য ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, ম্যানগ্রোভ বাঁচাতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। জঙ্গল রক্ষায় সমস্ত রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষকে নিয়ে বিশেষ দল গঠন হবে বলেও জানান তিনি।.এতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনদফতরের বারুইপুর রেঞ্জের পিয়ালি বিটের নজরদারি নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। এর ছবি তুলতে গেলে এক চিত্রগ্রাহকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে হুমকি দেওয়া হয়।
আরও অন্য খবর দেখুন