পাকুড়: ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের সামনে দাঁড়াতে দেখা যায়নি। অভিযোগ, তাঁকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করার সুযোগ পায় না। নাম না করে কার্যত মোদিকে খোঁচা দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)।
ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার (Bharat Jodo Nyay Yatra) ফাঁকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। এক্স হ্যান্ডলে পরে এই নিয়ে রাহুল গান্ধী লেখেন, আমি কঠিন প্রশ্নে ভয় করি না। সেটা ইন্ডিয়া জোট নিয়ে হোক বা যারা কংগ্রেস ছেড়ে গিয়েছে তাদের নিয়ে হোক। প্রকাশ্যে সৎভাবে প্রশ্নের উত্তর দিতে ভালো লাগে। যারা ক্ষমতায় আছে চেষ্টা করে দেখতে পারে। পশ্চিমবঙ্গে ডিজিটাল মিডিয়া যোদ্ধাদের সঙ্গে লম্বা ও সফল চর্চা হল। এদিন কলকাতা টিভি’র প্রতিনিধি সুচন্দ্রিমার প্রশ্নের জবাবে রাজনীতি সহ সব ক্ষেত্রেই মহিলাদের আরও বেশি করে অংশগ্রহণের পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। এমনকী কলকাতা টিভি’তে ইডি’র রেড প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন রাহুল গান্ধী।
मैं मुश्किल सवालों से नहीं डरता, फिर वो INDIA गठबंधन पर हो, कांग्रेस छोड़ गए नेताओं पर हो या #PaanchNYAY पर।
पश्चिम बंगाल में डिजिटल मीडिया योद्धाओं के साथ एक लंबी और सार्थक चर्चा हुई।
ईमानदारी से खुलकर सवालों का जवाब देना अच्छा लगता है, सत्ता में बैठे लोग भी कोशिश कर सकते हैं। pic.twitter.com/ZFxHvPDP1q
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) February 2, 2024
শুক্রবার ঝাড়খণ্ডে রাহুল গান্ধীকে অভূতপূর্ব অভ্যর্থনা জানানো হয়। রাহুল গান্ধী আজ সেখানকার জনগণকে আরএসএস এবং বিজেপিকে ভয় না পাওয়ার জন্য এবং তাদের নির্বাচিত সরকারকে চুরি করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। অনুষ্ঠানে নবনিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেনও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রেড রোডে ধরনা এই পর্যায়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, জানালেন মমতা
কয়েক হাজার জনতাকে সম্বোধন করে কংগ্রেস নেতা বলেন, বিজেপি আবারও ঝাড়খণ্ডের জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকারকে চুরি ও অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছে। ইন্ডিয়া জোট বিজেপির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে এবং তাদের জনপ্রিয় ‘ম্যান্ডেট’ চুরি করতে দেয়নি। তাদের (বিজেপি) অর্থ শক্তি এবং এজেন্সি রয়েছে। তবে তিনি এবং কংগ্রেস দল তাদের ভয় পায়নি এবং তাদের বিভেদমূলক মতাদর্শের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন।
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি বলেন, আগের ভারত জোড়ো যাত্রা আরএসএস এবং বিজেপির বিভাজনমূলক এজেন্ডার বিরোধী ছিল। বর্তমান যাত্রা দেশের মানুষের জন্য ন্যায়বিচার চাইছে। তিনি বলেন, সারাদেশে ব্যাপক অবিচার বিরাজ করছে। মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব সমস্যা রয়েছে। নরেন্দ্র মোদির ভারতে তরুণদের চাকরি পাওয়া অসম্ভব। দেশের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মেরুদণ্ড, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ধ্বংসের জন্য মোদির নোটবন্দীকরণের নীতি এবং ভুল জিএসটি দায়ী। রাহুল বলেন, দেশে এই মুহূর্তে বেকারত্বের হার গত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই ন্যায়যাত্রা অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার এবং কৃষক, যুবক ও অন্যান্য প্রান্তিক মানুষের ন্যায়বিচারের জন্য।
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন, ইন্ডিয়া ব্লকের অন্যতম সিনিয়র নেতাও জনসভায় ভাষণ দেন এবং ন্যায় যাত্রাকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন।
কলকাতা টিভি’র প্রতিনিধি সুচন্দ্রিমার প্রশ্নের জবাবে কী বললেন রাহুল গান্ধী? দেখুন ভিডিও