ঢোলাহাট: মঙ্গলবারের পর বুধবারও ঢোলাহাটে (Dholahat Case) অশান্তি অব্যাহত। এদিনও থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় মৃতের পরিবার ও স্থানীয়রা। ক্যানিংয়ের ঢোলাহাটের এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের করেছে মৃতের পরিবারের। আদালত সেই মামলা গ্রহণ করেছে। আগামিকাল শুনানির সম্ভাবনা।
চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে থানায় তুলে এনে যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। মারধরের জেরে মৃত্যু হয় ওই যুবকের, এমনটাই অভিযোগ মৃতের পরিবারের। মৃত যুবকের নাম আবু সিদ্দিক হালদার।
আরও পড়ুন: বেতন দাবিতে আন্দোলনে নামলেন চা শ্রমিকরা
পুলিশ সূত্রের খবর, গত ৩০ জুন ঢোলাহাটের ঘাটমুকুলতলা এলাকায় ওই যুবকের কাকার বাড়িতে চুরি হয়। সেই ঘটনার পর চোর সন্দেহে আবু সিদ্দিককে পুলিশের হাতে তুলে দেয় প্রতিবেশীরা। আদালতে তোলা হলে জামিন পান ওই যুবক। পরের দিন ছাড়া পেয়ে বাড়িতেও ফিরে আসেন। মৃত আবু সিদ্দিকের পরিবারের লোকজনের দাবি, বাড়ি ফেরার পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে তাঁকে মথুরাপুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ডায়মন্ড হারবার ও চিত্তরঞ্জন হাসপাতাল (Chittaranjan Hospital) ঘুরে সোমবার পার্ক সার্কাসের (Park Circus) একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই সিদ্দিক মারা যান। পরিবারের দাবি, জামিন পেয়ে বাড়ি আসার পর সিদ্দিকের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। থানায় মারধর করাতেই সিদ্দিকের মৃত্যু হয়েছে।
কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে দেহ ময়নাতদন্তের পর রাতে ফেরে আবু সিদ্দিক হালদারের দেহ। মঙ্গলবারের পর বুধবারের ঢোলাহাট থানায় বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিবার ও প্রতিবেশীরা। এদিন বিক্ষোভে শামিল হন আইএসএফ নেতা আব্দুল মালেক মোল্লা সহ প্রচুর দলীয় কর্মী সমর্থক। বুধাবর নিহত যুবকের বাবা, কাকু এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আইএসএফ নেতৃত্বদের উপস্থিতিতে ঢোলাহাট থানায় ডেপুটেশন দেওয়া হয়। এই ডেপুটেশনে ঘাটবকুলতলার নিহত যুবক আবু সিদ্দিক হালদারের মৃত্যুর ঘটনায় ঢোলাহাট থানার এসআই রাজদীপ সরকার সহ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকা অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। নিহত যুবকের পরিবারের কাছ থেকে নেওয়া টাকা অবিলম্বে ফেরত দেওয়া সহ একাধিক দাবি জানানো হয়।
অন্য খবর দেখুন