নয়া দিল্লি: কংগ্রেসের (Congress) শীর্ষ নেতৃত্বের গায়ে ফের আইনি টানাপোড়েনের ছায়া। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় প্রাক্তন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি, প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধি-সহ একাধিক কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আর্থিক প্রতারণা ও অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এই পদক্ষেপ। একই দিনে, আরেকটি মামলায় ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধির স্বামী রবার্ট বঢরা। রাজনৈতিক মহলে এই ইস্যু ঘিরে শুরু হয়েছে জোর তরজা।
গত ১২ এপ্রিল ইডি ৬৬১ কোটি টাকা মূল্যের ন্যাশনাল হেরাল্ড ও অ্যাসোসিয়েটেড জার্নাল লিমিটেড (এজিএল)-এর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নোটিস দেয়। তার ঠিক আগে, ৯ এপ্রিল এই মামলার চার্জশিট জমা দেয় ইডি। মঙ্গলবার সেই চার্জশিট খতিয়ে দেখেন দিল্লির বিশেষ আদালতের বিচারক বিশাল গোগনে। মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য হয়েছে আগামী ২৫ এপ্রিল। চার্জশিটে সোনিয়া-রাহুলের পাশাপাশি কংগ্রেস নেতা শ্যাম পিত্রোদা ও সুমন দুবের নামও উল্লেখ করা হয়েছে। ইডির আইনজীবী এনকে মাত্তা অর্থ নয়ছয়ের প্রেক্ষিতে কঠোর শাস্তির আবেদন করেছেন।
আরও পড়ুন : মুর্শিদাবাদে তদন্তকারী দল পাঠাচ্ছে মানবাধিকার কমিশন!
আদালতের নির্দেশ, চার্জশিটের সফ্ট কপি ও প্রাসঙ্গিক নথির ওসিআর ফরম্যাট জমা দিতে হবে ইডিকে। এদিনই কংগ্রেসের মিডিয়া সেলের প্রধান জয়রাম রমেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়ায় লেখেন, “ন্যাশনাল হেরাল্ডের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা সরকারের মদতে আইনের অপব্যবহার। চার্জশিটের সিদ্ধান্ত প্রতিহিংসার রাজনীতি ছাড়া কিছুই নয়। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভয় দেখিয়ে বিরোধীদের দমন করতে চাইছেন। কিন্তু কংগ্রেস চুপ করে বসে থাকবে না। সত্যের জয় হবেই।”
ন্যাশনাল হেরাল্ডের মালিকানা প্রসঙ্গে, ‘ইয়ং ইন্ডিয়া’-র শেয়ারহোল্ডার তালিকায় শীর্ষে সোনিয়া ও রাহুল। দু’জনের হাতেই রয়েছে ৩৮ শতাংশ শেয়ার। ইডির দাবি, মাত্র ৫০ লক্ষ টাকায় ২০০০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হন তাঁরা। সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর দায়ের করা এই মামলায় ২০১৪ সালে সোনিয়া ও রাহুলকে প্রথম নোটিশ পাঠানো হয়। পরে দিল্লির আদালতে জামিন পান তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টে মামলা খারিজের আবেদন করলেও তা সাফল্য পায়নি। ২০১৯ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ডের ৬৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি।
দেখুন আরও খবর: