skip to content
Friday, October 4, 2024

skip to content
HomeScrollসুদীপ্ত রায়ের বাংলোয় ইডির হানা
ED Raid

সুদীপ্ত রায়ের বাংলোয় ইডির হানা

বিধায়কের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক গ্রামবাসীরা

Follow Us :

হুগলি: আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Incident) আর্থিক দুর্নীতির মামলায় চিকিৎসক সুদীপ্ত রায়ের (Sudipta Roy) বাংলোতে হানা দিল ইডি (ED)। মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজ্যের ৬ জায়গায় হানা দিয়েছেন ইডির আধিকারিকেরা। তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা ও শ্রীরামপুরের বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। হুগলির দাদপুরের দাঁড়পুর গ্রামে বাগানবাড়ি রয়েছে সুদীপ্ত রায়ের। আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি। এদিন দাসপুরের বাংলো ছাড়াও কলকাতার বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি।

স্থানীয় নন্দীদের থেকে ২০০৮ সালে এই সম্পত্তি কিনেছিলেন শ্রীরামপুরের বিধায়ক। সেখানেই তিনি বাগানবাড়ি গড়ে তোলেন। সাদা উঁচু পাঁচিল দেওয়া বাগানবাড়ীর কালো রঙের গেটে লেখা বসু রয়। ভেতরে একটি ছোট জলাশয় রয়েছে।সেখানে হাঁস মুরগি এবং খরগোশের মতো পোষ্য রয়েছে। সেই বাড়িতেই আজ সকালে তল্লাশি অভিযানে ঢোকে ইডির আধিকারিকরা। পাঁচটি গাড়িতে করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে আধিকারিকদের দলটি গেট বন্ধ থাকায় বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে। এরপর কেয়ারটেকারকে ডেকে এনে চাবি খুলে ভেতরে ঢোকে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সুদীপ্ত রায় তার বাংলয়ে মাঝেমধ্যেই আসেন।ছুটির দিনে তাকে দেখা যায়। তার রাজনৈতিক সহকর্মীদেরও মাঝেমধ্যেই দেখা যেত এই বাংলোতে।

আরও পড়ুন: রূপনারায়ণ নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে

উল্লেখ্য আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। পরে তাকে তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ ও খুনের মামলাতেও গ্রেফতার করে সিবিআই। সেই সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ সুদীপ্ত রায় আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন। যে রোগী কল্যাণ সমিতি কয়েকদিন আগেই ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর্থিক দুর্নীতিতে সুদীপ্ত রায়ের কি ভূমিকা রয়েছে, সেটাই খতিয়ে দেখতে চাইছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। আজ সকালে থেকে সিঁথির মোড়ে তার বাড়ি নার্সিংহোম হুগলির বাংলো সহ মোট ছয়টি জায়গাতে তল্লাশি চলছে।
গত বৃহস্পতিবার সুদীপ্ত রায় সিঁথির মোড়ের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়েছিল সিবিআই। বিধায়কের জিজ্ঞাসাবাদ করেন আধিকারিকরা। সেই সূত্রেই হুগলির দাদপুর এর এই বাংলোর খোঁজ মেলে বলে জানা যায়।

সুদীপ্ত রায়ের বাংলোয় মালির কাজ করতেন তরুন পাত্র।তাকে ডেকে জিজ্ঞোসাবাদ করে ইডি। তরুন বাইরে বেরিয়ে বলেন,তিনি আড়াই বছর কাজ করেছিলেন।সে সময় দেখেছেন অনেকেই আসতেন বাংলোয়।খাওয়া দাওয়া হত রাত পর্যন্ত।সুদীপ্ত বাবুর স্ত্রীও আসতেন। ইডি আজ মালিকে ডেকে জিজ্ঞাসা করে কি কাজ করতেন,কতদিন কাজ করেছেন,কে কে আসতেন,কেমন ব্যবহার করতেন। নার্সিংহোম করার জন্য নন্দীদের থেকে এই জায়গায় কিনেছিলেন।পরে বাগানবাড়ি করেন। তরুন বলেন, যদি কেউ অন্যায় করে তার শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।গ্রামবাসীদের অভিযোগ, হওয়ার কথা ছিল চক্ষু হাসপাতাল কিন্তু তার পরিবর্তে তৈরি হয়েছে বাগানবাড়ি।

অন্য খবর দেখুন 

YouTube player
RELATED ARTICLES

Most Popular