কলকাতা: গঙ্গাসাগর মেলার (Ganga Sagar Mela 2025) আগে কপিলমুনির মন্দিরের সামনে বাঁধ সংস্কার করা হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন মন্ত্রী। কিন্তু মাত্র দু’মাসের মধ্যেই ফের সেই বাঁধ ভেঙে পড়ায় আতঙ্কে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা। ভরা কোটালের ধাক্কায় 1 ও 4 নম্বর স্নানঘাটের সামনের বাঁধে ফাটল ধরতে শুরু করেছে, যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে যান সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তিনি জানান, গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৫ উপলক্ষে বাঁধ সংস্কার করা হয়েছিল, তবে মাঘী পূর্ণিমার সময় ভরা কোটালের কারণে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। স্থায়ী সমাধানের জন্য ইতিমধ্যেই টেন্ডার ডাকা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মার্চেই সম্পন্ন হতে চলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা
এদিকে, বিরোধী (BJP) সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিজেপি নেতা অরুণাভ দাসের অভিযোগ, “প্রতিবছর গঙ্গাসাগর মেলার নামে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হয়, কিন্তু তা তৃণমূল নেতাদের পকেটে চলে যায়। স্থায়ী বাঁধ তৈরি না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।”
স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরও দাবি, অস্থায়ীভাবে বাঁধ সংস্কার করে লাভ নেই। ব্যবসায়ী দেবু দাসের অভিযোগ, “প্রতি বছরই সাময়িক সংস্কার হয়, কিন্তু বর্ষার সময় আবার সব ভেসে যায়। স্থায়ী সমাধান না হলে সাগরদ্বীপের মানুষ চরম সমস্যায় পড়বে।”
সাগরদ্বীপের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি, ডিঘার মতো শক্তপোক্ত বাঁধ তৈরি করা হোক। ব্যবসায়ী তরুণ মাইতির কথায়, “বর্ষার সময় ভাঙনের তীব্রতা আরও বাড়বে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার একযোগে পদক্ষেপ না করলে কপিলমুনির মন্দিরও ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।” এখন দেখার, স্থায়ী সমাধানের প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়িত হয়!
দেখুন আরও খবর: