Tuesday, December 23, 2025
HomeScrollকানাডিয়ান শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট, এজলাস থেকেই বাবাকে ফোন
High Court

কানাডিয়ান শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট, এজলাস থেকেই বাবাকে ফোন

বাবা মায়ের দ্বন্দ্ব নিয়ে আমাদের কোনও উৎসাহ নেই, মন্তব্য বিচারপতির

ওয়েবডেস্ক- কানাডিয়ান শিশুর (Canadian child)  ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High Court) । শিশুর কানাডিয়ান পাসপোর্ট (Child’s Canadian passport) এর মেয়াদ শেষ হতে চলেছে ৩১ ডিসেম্বর। এজলাস থেকেই বিচারপতির নির্দেশে কানাডায় শিশুর বাবাকে ফোন আইনজীবীর। বাবা মায়ের দ্বন্দ্ব নিয়ে আমাদের কোনও উৎসাহ নেই। আমরা উদ্বিগ্ন শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়ে। বাবা মায়ের দ্বন্দ্বের জন্য একটি শিশুর ভবিষ্যৎ কখনো নষ্ট হতে পারে না, মন্তব্য বিচারপতি দেবাংশু বসাকের (Justice Debangshu Basaker) 

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে কানাডায় এক বাঙালি দম্পত্তির কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে তার বয়স পাঁচ বছর। কানাডায় জন্ম হওয়ার ফলে ওই শিশু সন্তান কানাডার নাগরিকত্ব লাভ করে। এরপরেই শুরু হয় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব। ইতিমধ্যে স্বামীও কানাডার নাগরিকত্ব লাভ করেছেন।বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও দায়ের হয়। স্ত্রীর অভিযোগ স্বামী তাঁকে হেনস্থা করতেন। এবং অন্যান্য মহিলাদের প্রতিও তার আসক্তি রয়েছে। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। পরবর্তী কালে অসহায় বোধ করায় স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে কলকাতায় চলে আসেন।

কন্যা সন্তানের কানাডিয়ান পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। কিন্তু সে এখনও ভারতবর্ষে তার মায়ের সঙ্গে বসবাস করছে। এই সমস্যার সমাধান চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন স্বামী। মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহ শব্বার রাশিদি এজলাসে উপস্থিত স্ত্রীকে ডেকে একান্তে কথা বলেন। সম্পূর্ণ বিষয়টি জানার পর এজলাস থেকেই স্বামীকে ফোন করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি। এবং জানতে চান কবে তিনি ভারতে এসে স্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ের সমধান করবেন। আইনজীবী জানান, যেহেতু আবেদনকারী স্বামী কানাডিয়ান নাগরিক তাই ভিসা পেতে সময় লাগবে।

এক দেড় মাসের আগে আসা সম্ভব নয়। বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, আমরা চাই এই সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে শিশুটি কানাডায় ফিরে যাক।কিন্তু সেক্ষেত্রে স্ত্রী ও সন্তানের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও আদালত চিন্তিত। যেহেতু স্বামী ও শিশুটি কানাডার নাগরিক তাই আদালতের ক্ষমতা সীমিত। কিন্তু ভারভীয় নাগরিক স্ত্রীর নিরাপত্তার বিষয়টি আদালত বিবেচনার মধ্যে রেখেছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য এবং শিশুর ভবিষ্যতের কথা ভেবে আদালতের প্রস্তাব:-

আরও পড়ুন- ক্রিসমাসে পার্কস্ট্রিট থেকে নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরুন, জেনে নিন শেষ মেট্রোর টাইম

১) স্বামীকে কানাডার আদালতে  এবং কলকাতা হাইকোর্টের কাছে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে শিশু এবং তার মায়ের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে না।

২) স্ত্রী এবং শিশু সন্তানকে কানাডায় আলাদা থাকার ব্যাবস্থা করতে হবে।

৩)  দুজনের আর্থিক খরচ বহন করতে হবে।

৪) স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া আবেদনকারী ওই বাসস্থানে প্রবেশ করতে পারবে না।

৫) স্ত্রীর অনুমতি স্বাপেক্ষে কন্যা সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে পারবে সীমিত সময়ের জন্য।

৬) কানাডায় একটি সম্পত্তি থাকার জন্য ক্রয় করতে হবে যার মাসিক ইএমআই স্বামীকে বহন করতে হবে।

৭) কানাডার আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা প্রত্যাহারের বিষয় বিবেচনা করবে স্বামী। তার জন্য আদালতের প্রস্তাব উভয়পক্ষকে আজ থেকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ফোনে বা ভিডিও কলের মাধ্যমে আলোচনা করতে হবে। এই সময়ে স্বামী তার শিশু সন্তানের সঙ্গে ও কথা বলতে পারবেন।

আগামী জানুয়ারি মাসে আদালতকে উভয় পক্ষের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। তবে আদালত আশা করছে আলোচনার মাধ্যমে উভয় পক্ষ সমাধানের পথ খুঁজে পাবে।

দেখুন আরও খবর-

Read More

Latest News