কলকাতা: ১৪ ঘণ্টা পার অনশনে জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors Hungary Stricke) অপশন। অনশনের সময়ের হিসাব রাখা হচ্ছে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় লেখা হচ্ছে, অনশনের কতটা সময় পেরোল। জুনিয়র ডাক্তাররা শনিবার রাত সাড়ে আটটা থেকে আমরণ অনশনে বসলেন। ‘আমরণ’ অনশনে বসলেন ছয় জন জুনিয়র ডাক্তার। রবিবার সকালে অবস্থানস্থলে যাওয়ার কথা সিনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিদের। আন্দোলনকে সমর্থনের বার্তা দিতে যাবেন তাঁরা।
অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। নিজেরাই জানালেন, তাঁরা ভাল আছেন। তবে বায়ো টয়লেট নিয়ে যে জটিলটা তৈরি হতে। কারণ বায়ো টয়লেট বসাতে না দেওয়ায় কিছু দূরের সাধারণ শৌচাগার তাঁদের ব্যবহার করতে হচ্ছে। তাতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। চিকিৎসক অর্ণব মুখোপাধ্যায় বলেন, বায়ো টয়লেট আমরা এনেছিলাম। পুলিশ জানায়, এটা গ্রিন জোন। তাই এখানে বায়ো টয়লেট রাখা যাবে না। বায়ো টয়লেটের অনুমতি চেয়ে আমরা শনিবার সন্ধ্যায় লালবাজারে ইমেল করেছিলাম। এখনও জবাব পাইনি। তিনি আরও বলেন, আরজি করের মতো আর একটা ঘটনা যেন না ঘটে, সে কথা মাথায় রেখেই আমাদের দাবি।
আরও পড়ুন: জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন শুরু, নেই আর জি করের কেউ
ধর্মতলায় তার জন্য নিজেরাই মঞ্চ বানিয়েছেন। বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের মোট ছয়জন জুনিয়র ডাক্তার অনশন শুরু করেছেন। কিন্তু অনশনকারীদের তালিকায় আর জি কর হাসপাতালের কোনও চিকিৎসকের নাম নেই। যে আর জি কর হাসপাতালের তরুণী পিজিটি চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের বিচারের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের এই অনশন কর্মসূচি, সেই হাসপাতালের কোনও চিকিৎসক কেন অনশনে বসলেন না, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। আরজি করের যে পরিচিত মুখগুলিকে এতদিন আন্দোলনের পুরোভাগে দেখা যেত, তাঁদের কাউকে এদিন অনশন মঞ্চের ধারে পাশে দেখা যায়নি। কিঞ্জল নন্দ, অনিকেত মাহাত প্রমুখকে কেন দেখা গেল না, কেন তাঁরাও অনশনে শামিল হলেন না, তা নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। অনশনে আর জি করের জুনিয়র ডাক্তারদের অনুপস্থিতি নিয়ে আন্দোলনকারীরা কোনও সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
অন্য খবর দেখুন