কলকাতা: শহর কলকাতায় প্রকাশ্যে কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে গুলি! শুক্রবার সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন তৃণমূলের কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বরের তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। দুই দুষ্কৃতী বাইকে এসে হামলা চালায়। বাইকের পিছনে বসা ব্যক্তি পিস্তল বের করে সুশান্তবাবুকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা করে। মোক্ষম সময় ট্রিগার জ্যাম হয়ে যায়। অল্পের জন্য রক্ষা পান তৃণমূল কাউন্সিলর। তবে পালাতে পারেনি হামলাকারীরা। হামলাকারীদের পাকড়াও করে পুলিশ।
ঘটনায় আতঙ্কিত তৃণমূল কাউন্সিলর। কী কারণে খুন? খুনের বরাত দিয়েছিলেন কি স্থানীয় কেউ? প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীদের একাংশ। ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দু’জন বাইক আরোহী ছাড়া একজন বিহারের বাসিন্দা। ঘটনায় ভিনরাজ্যের যোগ থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের।
আরও পড়ুন: নিমতলায় কাঠের গুদামে আগুন, নেভাচ্ছে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন
ইতিমধ্যেই কাউন্সিলরের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে তদন্তের মোড় ঘোরাতে বারবার পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে। কখনও নিজের বয়স ভুল বলে, কখনও ইকবাল তাদের এনেছে বলে দাবি করছে অভিযুক্তরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ইকবাল নামটি সম্ভবত ভুয়ো। গত পরশু বিহারের বৈশালী থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বন্দর সীমান্তে ঘাঁটি গেড়েছিল তারা। তবে তাদের সুপারি দিয়ে এনেছিল তা স্পষ্ট নয় বলছে পুলিশ।
ঘটনায় আটক হয়েছেন এক ট্যাক্সি ড্রাইভারও। সূত্রের খবর, একটি ট্যাক্সি ভাড়া করা হয়েছিল। অভিযুক্তরা এই ট্যাক্সি করেই ঘুরছিল দিনভর। সেই ড্রাইভারকে আটক করে জিজ্ঞেসাবাদ করছে পুলিশ। মূল অভিযুক্ত যুবরাজের দাবি, সুশান্তকে প্রাণে মারা নয়। ভয় দেখানোই উদ্দেশ্য ছিল। ঘটনায় পাঁচজনকে শনাক্ত করেছে স্থানীয় থানার পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অনেককে পালাতে সাহায্য করেছে ওই ব্যক্তি। গোটা ঘটনায় সরাসরি জড়িত ট্যাক্সি ড্রাইভার।
দেখুন আরও খবর: