কলকাতা: আজ উল্টো রথ (Ulto Rath Yatra 2024)। দেশজুড়ে রথযাত্রাকে মহা সমারহে পালিত হচ্ছে উল্টোরথ। পুরীর পর ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম রথ মাহেশের রথযাত্রা (Mahesh Rath Yatra)। রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে হুগলির মাহেশে ধুমধাম। ৬২৮ বছরের এই রথযাত্রা উপচে পড়ার ভিড় ভক্তদের। বহু দূর দুরান্ত থেকে ভক্তের সমাগম মাসির বাড়িতে। সকাল পাঁচটায় মঙ্গলারতীর পর ভোগ নিবেদন, এর পর সকাল আটটায় মন্দির থেকে বার করা হয় জগন্নাথ, বলরাম,সুভদ্রার বিগ্রহ। মন্দিরের চাতালে থেকেই ভক্তদের দর্শন দেন, চলে পুজোপাঠ। নিয়ম মেনে বিশেষ পুজো মাধ্যমে দুপুর দুটো নাগাদ জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার বিগ্ৰহ রথে নিয়ে তোলা হয়। বিকেল সাড়ে রথের রশিতে টান পড়ে। কথিত, এইদিনে জগন্নাথদেব ভক্তদের দর্শন দেন। এখানে উল্টোরথের মাহাত্ম্য হল দক্ষিণ দিকে রথ টানা হয়। আর জগন্নাথদেব দক্ষিণাকালী রূপে রথের উপর বিরাজ করেন।
বারো চাকা বিশিষ্ট পঞ্চাশ ফুট উচ্চতার এই রথ ভক্তরা টেনে নিয়ে যাবেন মাসির বাড়ি থেকে প্রায় নয়শো মিটার দূরে মাহেশের জগন্নাথ দেবের মন্দিরে। সেখানে ১০০০ শালগ্ৰাম শীলার উপর রত্নবেদীতে বসানো হবে জগন্নাথদেবকে। লক্ষাধিক ভক্তের সমাগমের কথা মাথায় রেখে হয়েছে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা ব্যাবস্থা।রয়েছে সিসিটিভিতে নজরদারি। এদিন সকালে মাহেশে মাসির বাড়িতে জগন্নাথ দর্শন করে পুজো দিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু।
আরও পড়ুন: মাসির বাড়ি থেকে নন্দীঘোষ রথে চেপে পুরীর মন্দিরের পথে জগন্নাথ
শুধু মাহেশ নয় মায়াপুর ইস্কন উল্টোরথের (Rath Yatra of ISKCON) অনুষ্ঠানে ঘিরে ভক্তদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। মায়াপুর ইস্কন উল্টোরথের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে উপস্থিত হন প্রাক্তন সাংসদ, অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী এবং রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকার। মিমি চক্রবর্তী মঞ্চে শ্রীকৃষ্ণের গান গেয়ে সাধারণ মানুষকে জাগিয়ে তুললেন।
অন্যদিকে, মহিষাদল (Mahishadal Rath Yatra ) রাজ পরিবারের প্রায় ২৫০ বছরের প্রাচীন রথ। এই রথে রাজ বাড়ির কুলো দেবতা মদন গোপাল জিউ যান, সঙ্গে থাকেন জগন্নাথ দেব। আজ উল্টো রথ বা ফেরত রথ মাসির বাড়িতে ৮ দিন থাকার পর মদনগোপাল জিউ ও জগন্নাথ বাড়ি ফিরবে। মাসির বাড়ি অর্থাৎ গুন্ডিচাবাটী থেকে রথে করে ২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে বাড়ি ফিরবেন মদন গোপাল জিউ। উল্টো রথে চড়ে জগন্নাথ দেব ও মদন গোপাল জিউ তার নিজের বাসগৃহে ফিরবেন প্রায় দু কিলোমিটার রথে চড়ে। ইতিমধ্যেই ভিট জুবিসন কয়েক লক্ষ মানুষ রথের রশিতে টান দেওয়ার জন্য। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ প্রশাসনও যথেষ্ট তৎপর, রয়েছে ড্রোন ক্যামেরার নজরদারি।
দেখুন ভিডিও