নামখানা: ২০১৯ সাল থেকে স্কুলের ছাউনি নেই ডাইনিং হলের। তাই বাধ্য হয়েই শীত, গ্রীষ্ম ,বর্ষা খোলা আকাশের নিচে চলছে বিদ্যালয়ের বারান্দার মেঝেতে বসে মিড ডে মিলের (Mid day meal) খাওয়ার খেতে হয়। চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় খুদে পড়ুয়াদের। ২০১৮ সালে নির্মল বিদ্যালয়ের পুরস্কার পেয়েছিল নামখানা (Namkhana) ব্লকের উত্তর শিবপুর তিলোত্তমা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের প্রতি পড়ুয়াদের আকর্ষণ বাড়াতে বিদ্যালয়টিকে রঙিন ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সমগ্র বিদ্যালয়ের দেওয়াল জুড়ে রয়েছে শিক্ষামূলক আঁকা। নামখানা ব্লকের অন্যতম রঙিন বিদ্যালয় হিসেবেও পরিচিত এই বিদ্যালয়। তবে ব্লকের অন্যতম আকর্ষণীয় এই বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের খাবার খেতে প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় পড়ুয়াদের।
২০১৯ সালে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে এই স্কুলের ডাইনিং হলের ছাউনি থেকে শুরু করে সমগ্র সেটটি ভেঙে যায়। বিদ্যালয়ের ডাইনিং হলের ছাউনি না থাকায় সেই থেকেই বিদ্যালয়ের বারান্দার মেঝেতে বসেই মিডডে মিলের খাওয়ার খেতে হয় পড়ুয়াদের। বর্ষার সময় ভোগান্তি দ্বিগুণ বেড়ে যায়। বিদ্যালয়ের তরফে বহুবার বিভিন্ন দফতরে জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই এভাবে পড়ুয়াদের বারান্দার মেঝেতে বসিয়ে মিড ডে মিলের খাবার পরিবেশন করতে হয়।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম ধাঁচের আন্দোলনের হুমকি শুভেন্দুর
তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত গিরি বলেন ‘২০১৯ সালে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ডাইনিং হলের সেটটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ের তরফে বহুবার বিভিন্ন দফতরে জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই এভাবে পড়ুয়াদের বারান্দার মেঝেতে বসিয়ে মিড ডে মিলের খাবার পরিবেশন করতে হয়’। অন্যদিকে বিদ্যালয়ের বারান্দায় বসে মিড ডে মিলের খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে চরম সমস্যায় পড়তে হয় বলে জানিয়েছে বিদ্যালয়ের খুদে পড়ুয়ারা। তবে খুব শীঘ্রই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন নামখানার সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অমিত কুমার সাহু।
অন্য খবর দেখুন