ভূপতিনগর: ভূপতিনগরে নন্দীগ্রাম (Nandigram movement) ধাঁচের আন্দোলনের হুমকি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার ভূপতিনগরের জুখিয়া গ্রামে দলিত বিজেপি সমর্থকদের বাড়ি যান তিনি। শুভেন্দু কথা বলেন মহিলাদের সঙ্গে। স্থানীয়দের বিরোধী নেতা বলেন, আপনারা মন্দিরে মাইক লাগান। আমি শঙ্খ পাঠিয়ে দেব। কোনও নোটিস ছাড়া পুলিশ গ্রামে ঢুকলে শঙ্খ বাজিয়ে সকলকে সচেতন করতে হবে। সকলকে একযোগে পুলিশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। ২০০৭ সালের মতো নন্দীগ্রাম ধাঁচের আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আমি আপনাদের পাশে আছি। ভয় পাবেন না।
বিজেপির অভিযোগ, ভূপতিনগর থানার ওসি গোপাল পাঠক পুলিশ বাহিনী নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে জুখিয়া গ্রামের দলিত বিজেপি সমর্থকদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছেন। বাড়িঘরে ভাঙচুর করা হচ্চে, রান্না করা খাবার ফেলে দেওয়া হচ্ছে। বাড়ির মহিলাদের শাসানো হচ্ছে এবং মারধর করা হচ্ছে। মঙ্গলবার শুভেন্দু তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে ওই ঘটনার ছবি পোস্ট করেন. সেখানে ঘটনার বিবরণও দেন বিরোধী নেতা।
আরও পড়ুন: পরিযায়ী লকেটকে নয়, ভূমিপুত্র চেয়ে পোস্টার শ্রীরামপুরে
বুধবার শুভেন্দু জুখিয়া গ্রামে যান। তিনি অত্যাচারিত মানুষের সঙ্গে কথা বলেন, তাঁর কথা হয় গ্রামের নির্যাতিতা মহিলাদের সঙ্গেও। পুলিশ তাঁদের সঙ্গে কীরকম ব্যবহার করেছে, শুভেন্দুর কাছে তাঁরা তার বিস্তারিত বিবরণ দেন। স্থানীয় বিজেপি বিধায়ককে তিনি গ্রামের মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দেন। অনেক মহিলাকে বিরোধী নেতার পা জড়িয়ে কাঁদতে দেখা যায়। তিনি তাঁদের সব রকমের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন। ভূপতিনগরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) প্রাক্তন না করে আমি ছাড়ব না। ভাতা দিয়ে যখন দলিত মানুষগুলিকে কব্জা করা যাচ্ছে না, তখন মমতা সরকার পুলিশ দিয়ে দমন পীড়ন চালিয়ে ইংরেজদের কায়দায় মানুষকে আত্মসমর্পণ করাতে চাইছে। এর বিরুদ্ধে গ্রামের মানুষকে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তিনি মহিলাদের প্রশ্ন করেন, লড়াই করতে পারবেন তো? মহিলারা সমস্বরে জবাব দেন, হ্যাঁ, পারব। এদিন মহিলারা শঙ্খ বাজিয়ে ফুল ছড়িয়ে শুভেন্দুকে অভ্যর্থনা জানান।
অন্য খবর দেখুন