কলকাতা: করোনা অতিমারীর ভয়ঙ্কর স্মৃতি এখনও টাটকা। সেই কারণে নতুন কোনও ভাইরাস সংক্রমণের খবর শুনলেই অনেকেই ভীত হয়ে পড়েন। তবে শীতকালে নরোভাইরাসের নতুন স্ট্রেইনের সংক্রমণ ভাবাচ্ছে চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের। এটিকে শীতকালীন রোগও বলা হয়। নরোভাইরাস একটি অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাস, যা মূলত মানবদেহে অন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়। এটি সাধারণত ‘স্টমাক ফ্লু’ বা গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস-এর অন্যতম প্রধান কারণ হতে পারে। নরোভাইরাস খাদ্য ও পানীয়ের মাধ্যমে বা সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে ছড়াতে পারে। ভাইরাসটি সংক্রমিত মানুষের বমি বা মল থেকে সহজেই পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে।
নরোভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয় খুব তাড়াতাড়ি। সাধারণত সংক্রমণের ১২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়। এর প্রধান লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে- বমি ও বমি ভাব, ডায়রিয়া, পেটব্যথা, মাথাব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা, জ্বর বা ইত্যাদি। এই ভাইরাসের সংক্রমণ সাধারণত ১ থেকে ৩ দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে শিশু, বৃদ্ধ এবং দুর্বল রোগীদের ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে। নরোভাইরাস মূলত অন্ত্রকে আক্রমণ করে এবং এর সংক্রমণে পেট ফাঁপা, ডায়রিয়া, এবং বমির মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি, এই ভাইরাসের সংক্রমণ হলে ডিহাইড্রেশন, অপুষ্টি ইত্যাদি হতে পারে।
আরও পড়ুন: শিশুদের উপর কাজ করছে না ম্যালেরিয়ার অসুধ! চিন্তায় চিকিৎসকরা
নরোভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক। তবে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এই ভাইরাসের সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব। এই ভাইরাস প্রতিরোধ করতে হলে খাবার তৈরি করার আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পরে ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে, সংক্রমিত ব্যক্তির আশেপাশে থাকলে হাত মুখে দেওয়া চলবে না, বিশুদ্ধ জল পান করতে হবে, রাস্তার খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। তবে নরোভাইরাসের জন্য নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ নেই। এই ধরণের সংক্রমণ হলে পর্যাপ্ত জল এবং ওআরএস পান করতে হবে, জরুরি অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে স্যালাইন নিতে হবে। মোটকথা, এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার তেমন কিছু নেই।
দেখুন আরও খবর: