লখনউ: গ্রামীণ এলাকায় ক্ষমতায়নের জন্য প্রকল্পের আওতায় নারীরা ঋণ পেয়ে থাকেন। একমাত্র বিধবা মহিলারাই এই ঋণ পাওয়ার যোগ্য। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হয় না। সেই ঋণের কিস্তির টাকা ফাঁকি (evade loans)দিতে নিজেদের বিধবা সাজালেন চারজন স্ত্রী।
এই রকমও হয়! তদন্ত করতে এসে হতবাক পুলিশ। স্বামী জীবিত অথচ লোনের কিস্তির টাকা মাফের জন্য ‘স্বামীর মৃত্যু’ হয়েছে বলে তৈরি হয়েছে জাল সার্টিফিকেট।
পুলিশ সূত্রে খবর, চারজন স্ত্রী স্বামীর মৃত্যুর জাল সার্টিফিকেট (Fake death certificate) জমাও দেন। চারজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) গোরক্ষপুরের (Gorakhpur) ঘটনা। সেই ঋণ পরিশোধ এড়াতে তারা নিজের স্বামীর জাল সার্টিফিকেট জমা করেন ব্যাঙ্কে। পুলিশ তদন্তে নেমে ওই চারজনকে গ্রেফতার করে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪১৯, ৪৬৭, ৩৬৮ এবং ৪৭১ ধারায় ওই মহিলাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল এবং জেলে হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘পর্যটনে আমরা রাখব শীশমহলকে, মানুষ টিকিট কেটে দেখবে’, কেজরিকে তুলোধনা রেখা গুপ্তার
পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলারা এর আগে ইন্ডাসইন্ড ব্যাংকের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান ভারত ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন লিমিটেড কর্তৃক প্রদত্ত একটি গ্রুপ-ঋণ প্রকল্পের অধীনে ঋণ পেয়েছিলেন। এই ঋণ প্রকল্পের লক্ষ্য গ্রামীণ ও আধা-শহুরে এলাকার মহিলাদের স্ব-কর্মসংস্থান এবং আয় বৃদ্ধির জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। ঋণ পরিশোধের নীতি অনুসারে, যদি সুবিধাভোগীর স্বামী মারা যান, তাহলে ঋণের বাকি কিস্তি মাফ করা হয়। পূর্বে পরিশোধিত যেকোনও কিস্তি মৃত্যুকালীন অর্থপ্রদান হিসাবে পরিশোধ করা হয়। সেই ঋণের টাকা ফাঁকি দিতে চারজন স্ত্রী ফন্দি আঁটেন। জীবিত স্বামীকে মৃত বলে দেখিয়ে প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার পরিকল্পনা করে। ব্যাঙ্কের সন্দেহ হতে পুলিশকে জানায় তারা। তদন্তে জানা যায়, চারজন স্ত্রীর’ই স্বামী জীবিত।
পুলিশ আধিকারিক দেবেশ কুমার শর্মা জানান, জাল সার্টিফিকেট জমা দিয়ে প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। স্বামী বেঁচে আছে, অথচ মৃত্যুর জাল সার্টিফিকেট প্রতারণার উদ্দেশ্য প্রমাণ করে। কোথা থেকে এই জাল সার্টিফিকেটগুলি করা হয়েছিল, তা সত্যতা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
দেখুন অন্য খবর: