খাতড়া: তৃণমূলের জেলা সভাপতির যোগসাজে স্থানীয় তৃণমূল নেতা উত্তম মাহাত বিজেপি কর্মী বঙ্কু মাহাতকে খুন করেছে। বাঁকুড়ায় মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে এমনটাই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ( Suvendu Adhikari)। বঙ্কু বিহারী মাহাত খুনের ঘটনায় এবার সাতদিনের আল্টিমেটাম দিয়ে দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। অন্যদিকে বিরোধী দলনেতার মন্তব্যকে আসাঢ়ে গল্প বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী (Arup Chakraborty)। এদিন খাতড়া থানার দেদুয়া গ্রামে মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু। ঘটনার প্রতিবাদে বাঁকুড়ার খাতড়ায় দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে প্রতিবাদ মিছিলও করেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারী পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে মূল অভিযুক্ত উত্তম মাহাত গ্রেফতার না হলে আমরা বুঝবো পুলিশের উপর আস্থা রাখা ঠিক নয়। এই মামলা কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে হস্তান্তরের আবেদন জানাব আদালতে। শুক্রবার তিনি বাকুড়ার খাতড়ার দেদুয়া গ্রামে দলের কর্মী প্রয়াত বঙ্কু বিহারী মাহাতর বাড়িতে। দলের তরফে মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যও তুলে দেন শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে এদিন তিনি বাঁকুড়ার তৃণমূল সাংসদ অরুপ চক্রবর্তীর নাম করে বলেন, ‘ছ’জন শুধু খুন করেনি, কাদের নির্দেশে, কাদের সাহসে এসেছে? অরুপ চক্রবর্তী সঙ্গে উত্তম মাহাত কথা বলে এসেছে কিনা! অরুপ চক্রবর্তী ও উত্তম মাহাতর মোবাইল দু’টো নিয়ে দেখা উচিৎ। অরুপ চক্রবর্তীর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেই এই কাজ হয়েছে। ‘পুলিশ তার পকেটে, আমি দেখে নেবো’- তৃণমূল সাংসদ অরুপ চক্রবর্তীর এমন কথা বলেছেন বলেও শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন।
আরও পড়ুন: স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি, ধুন্ধুমার খণ্ডঘোষে
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার খাতড়ার দেদুয়া গ্রামে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় বঙ্কু বিহারী মাহাতো নামে এক ব্যক্তির। ওই দিন রাতে বিজেপির তরফে বঙ্কু বিহারী মাহাতোকে তাদের কর্মী ও তাকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। পরে তার ছেলে সনাতন মাহাতর অভিযোগের ভিত্তিতে বাদল মাহাতো, হারু ওরফে হারাধন মাহাতো ও তারাপদ পালকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তারা আদালতের নির্দেশে পুলিশি হেফাজতে আছেন। অন্যান্য অভিযুক্তরা এখনও অধরা। যদিও গতকাল বাঁকুড়া জেলা পুলিশ এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে দাবি করে এই ঘটনার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধি নেই। শুধুমাত্র দুটি পরিবারের মধ্যে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করেই ওই ঘটনা ঘটেছে।
এবিষয়ে তৃণমূল সাংসদ অরুপ চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘গোরু হারা চাষির মতো অবস্থা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। তাই উনি ‘আষাঢ়ে গল্প’ দিচ্ছেন বলেই তৃণমূল সাংসদ দাবি করেন।
এদিন প্রয়াত বঙ্কু বিহারী মাহাতর ছবি ও হাতে কালো ব্যাজ বেঁধে খাতড়া শহরে মিছিল করেন শুভেন্দু অধিকারীরা। পরে এক সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার, বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা, অমরনাথ শাখা, দলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল সহ অন্যান্যরা।
অন্য খবর দেখুন